করোনা রোগী মারা গেলে সংক্রমণের আশঙ্কা কতটুকু? - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

করোনা রোগী মারা গেলে সংক্রমণের আশঙ্কা কতটুকু?

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী মারা গেলে তাকে গোসল করানোর সময় সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তবে এ ব্যাপারে অতি সাবধানতা অবলম্বন করা হয় বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

আজ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মহাখালীতে আইইডিসিআরের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে সংবাদ ব্রিফিং করে আইইডিসিআর। সেখানে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান সেব্রিনা ফ্লোরা।

করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেলে সেখান থেকে সংক্রণের আশঙ্কা কতটুকু- এমন প্রশ্নের উত্তরে ফ্লোরা বলেন, ‘এই সংক্রমণটা ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে যখন রোগীকে গোসল করানো হয়, যেহেতু তার কাছাকাছি একজন মানুষ যান। তবে এ ব্যাপারে অতি সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। যারা এই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন, আমরা তাদের পিপিই দিয়ে এই কার্যক্রমটা সম্পন্ন করছি। সম্পূর্ণ ধর্মীয় বিধান মেনেই এ কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হচ্ছে। সেদিক থেকে বিচার করলে, পরবর্তীতে সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই।’

আইইডিসিআর পরিচালক আরও বলেন, ‘যাদের মধ্যে এই আশঙ্কা হচ্ছে, তিনি যদি করোনা আক্রান্ত নাও হয়ে থাকেন; তাদের পরীক্ষা করা হবে।’ এ ছাড়া মৃত কোনো ব্যক্তি থেকে এর সংক্রমণ হয়েছে বলে খবর পাননি বলেও জানান তিনি।। এ ধরনের কোনো দুশ্চিন্তা থেকে বিরত থাকতে এবং উদ্বিগ্ন না হতে অনুরোধ জানিয়েছেন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।।

তিনি আরও বলেন, ‘নিশ্চিত করোনা আক্রান্ত হয়ে যেসব রোগী মারা গেছেন তাদেরকে আমরা আইইডিসিআরের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন মহোদয় এবং সংশ্লিস্ট বিভাগের সমন্বয়ে আমরা এটা (দাফনকার্য) পরিচালনা করছি। ঢাকা সিটি করপোরেশন আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরা নিশ্চিত করছি, যাতে করে কোনোভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।’

আজ নতুন করে আরও ৪ জন করোনা আক্রান্তের খবর জানায় আইইডিসিআর। তাদের মধ্যে দুজন চিকিৎসক রয়েছেন, যারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দিয়েছিলেন। নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে দুজন ঢাকার বাইরে রয়েছেন। বাকি দুজন ঢাকায় আছেন।

নতুন এ চারজন নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট ৪৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করেছে আইইডিসিআর। এ ছাড়া মারা গেছেন ৫ জন। নতুন করে কোনো রোগীর মৃৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

Comment here