সারাদেশ

কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত

আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী : বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় চন্দ্রঘোনা থানার আওতাধীন ২নং রাইখালী ইউনিয়ন এর ৮নং ওয়ার্ডের
তিনছড়ি নোয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। রাতে রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মারুফ
আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে, সেখানে মোবাইল নেট না থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা
সম্ভব হচ্ছেনা। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। পাহাড়ে চারটি অঞ্চলিক দলের প্রভাব রয়েছে এই
ঘটনায় কারা নিহত বা কারা ঘটিয়েছে সেই বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো বিষয়গুরো পরিস্কার না।
ওসি ফিরে আসলে আপনাদের জানানো হবে।

তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, চন্দ্রঘোনা থানায় নারানগিরি ও মিতিয়াছড়ি এলাকায় সস্ত্রাসী সংগঠনের দুই
গ্রুপের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর হতে দফায় দফায় ৫০-৬০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এতে একজন নিহতও খবর
পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহিত সমিতির সদস্য বলে জানা যায়। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায়
এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলার রাইখালি ইউপি চেয়ারম্যান সায়ামং মারমা বলেন, আমিও স্থানীয় ভাবে গোলাগুলি
বিষয়টি শুনেছি। বিভিন্নভাবে এলাকায় খবর নেয়ার চেষ্টা করছি। দুর্গম এলাকা ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না
থাকার কারনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

কাপ্তাই সার্কেল এর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ জানান, দুপুরে গোলাগুলির
খবর পেয়ে চন্দ্রঘোনা থানার পুলিশ ঘটনা শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে চলে যায়। তিনি আরও জানান,
তিনছড়ি নামক এলাকায় ৪৫ বছরের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয় এবং তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে
পাওয়া যায়। শুক্রবার (৯ জুলাই) ময়না তদন্তের পর বিষয়টি পরিস্কার হবে। তবে ঘটনার সাথে কারা জড়িত
সেটি নিশ্চত হওয়া যায়নি।

এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত সাড়ে ৯টায় চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ
সদস্যরা ঘটনাস্থল হতে লাশটি উদ্ধার করে চন্দ্রঘোনা থানায় নিয়ে আসেন।
বর্তমানে ওই এলাকা নিরাপত্তাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। নিরাপত্তা
পরিস্থিতি জোরদারের অংশ হিসেবে কাপ্তাই জোন বিভিন্ন এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে।

Comment here

Facebook Share