সেজান জুসের কারখানায় আগুন পাঁচ তলায় লাশ নেই, ৬ তলায় তল্লাশি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

সেজান জুসের কারখানায় আগুন পাঁচ তলায় লাশ নেই, ৬ তলায় তল্লাশি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ’র সেজান জুস কারখানায় লাগা আগুন নেভার পর তল্লাশি শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। প্রতিষ্ঠানটির কারখানা ভবনের পাঁচতলায় তল্লাশি চালিয়ে কোনো লাশ খুঁজে পাননি কর্মীরা। বর্তমানে ভবনের ছয়তলায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (প্রশাসন) ওহিদুল ইসলাম।

ওহিদুল ইসলাম জানান, পাঁচ তলায় তল্লাশি শেষ হয়েছে। সেখানে কোনো লাশ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ভবনের ছয়তলায় ডাম্পিং নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। ডাম্পিং শেষ হলে লাশের খোঁজে তল্লাশি শুরু হবে।

পুরো ভবনটি হিট হয়ে আছে। আগুন নেভানো হলেও কিছু কিছু জায়গায় ফের জ্বলে উঠছে। প্রতিটি স্থানে আগুন নেভানোর কাজ শেষ হয়ে গেলে ভবনের কোথায় কোনো শ্রমিক জীবিত বা মৃত অবস্থায় আছেন কিনা দেখতে তল্লাশি চালানো হবে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এ উপপরিচালক।

ফায়ারকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভবনের বিভিন্ন জায়গার ধ্বংসস্তূপ থেকে আগুনের শিখা জ্বলে উঠছে, তাপ তো রয়েছেই প্রচুর ধোঁয়াও বের হচ্ছে। ভবনের কোন কোন যায়গায় এই অবস্থা (ডাম্পিং) রয়েছে তা দেখা হচ্ছে।

জানা গেছে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমড়ার ১৮টি ইউনিট এখনো কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ওহিদুল ইসলাম জানান, আগুন লাগা ভবনের পাঁচ তলায় লাশ নেই। ছয়তলার অবস্থা এখনই বলা যাচ্ছে না। ডাম্পিং শেষ হলে তল্লাশি চালানো হবে। পুরো ভবনটিরও তল্লাশি করা হবে।

আগুন লাগা ভবনের সামনে থাকা বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে আজ শুক্রবার কথা বলে জানা গেছে, স্বজনের খোঁজে স্বজনরা এসে কারখানার সামনে ভিড় করে। এক পর্যায়ে তারা কারখানার স্টাফ ও আনসারদের থাকার কোয়ার্টারে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন জনের মোটরসাইকেলসহ ১৫টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আনসার সদস্য ও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেয়।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুস, কোমল পানীয় ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরির ওই কারখানায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারও লাশই শনাক্ত হয়নি। ডিএনএ টেস্ট করার পর মৃতদের লাশ যার যার আত্মীয়-স্জনের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা।

এ ছাড়া নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের ১০ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।

 

Comment here