কাফরুলে বাসায় ঢুকে নারীকে হত্যা মামলায় প্রেমিক-প্রেমিকার যাবজ্জীবন - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

কাফরুলে বাসায় ঢুকে নারীকে হত্যা মামলায় প্রেমিক-প্রেমিকার যাবজ্জীবন

নওগাঁ প্রতিনিধি : সাড়ে ছয় বছর আগে রাজধানীর কাফরুলে সামরিনা সুলতানা রুনা (৪০) নামে এক প্রতিবন্ধী নারীকে হত্যা মামলায় প্রেমিক-প্রেমিকার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদের এ রায় দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. জুলহাস ও তার প্রেমিকা ডলি আক্তার। ডলি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। তবে রায় ঘোষণার আগে জুলহাসকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর রুনাকে কাফরুল থানাধীন দক্ষিণ ইব্রাহিমপুরের বাসায় খুন করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন তার বড় বোন রোজিনা সুলতানা অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে কাফরুল থানায় মামলা করেন। পরে জুলহাস ও ডলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর জুলহাস ও ডলিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন পল্লবী জোনাল টিমের এসআই মফিদুল ইসলাম আকন্দ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডলির ভাই জাকিরের (১৫) বিরুদ্ধে শিশু আদালতে দোষীপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, জুলহাস ও ডলি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবার মেনে না নেওয়ায় তারা পালিয়ে ভাসানটেকে স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করতেন। বিয়ের জন্য এক লাখ টাকা দিতে ডলিকে চাপ দেন জুলহাস। টাকা দিতে না পারায় জুলহাস ডলিকে বলেন তার কথামতো চলতে হবে। ডলি তাতে রাজি হন। পরে ডলিকে রুনার বাসায় নিয়ে যান জুলহাস। দারোয়ান তাদের বাসায় ঢুকতে বাধা দেন। ডলি দারোয়ানকে বলে তার মা পঞ্চম তলায় কাজ করেন। তারপরও দারোয়ান তাদের ঢুকতে দেননি। পরে সন্ধ্যার দিকে ডলি আবার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করেন। ডলি দারোয়ানের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে জুলহাস বাসায় ঢুকে পড়েন। পরে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ডলি তার ভাই জাকিরকে নিয়ে ভেতরে যান। জাকির সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে ছিল। প্রথমে রুনার বাসায় কাজের জন্য দরজা নক করেন ডলি। রুনা না করে দেন। পরে পানি খাওয়ার কথা বলেন ডলি। রুনা পানি আনতে গেলে তারা বাসায় ঢুকে পড়েন। এরপর তারা রুনাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।

 

Comment here