কিছু নিকৃষ্ট ও লোভী ছাড়া কেউ সরকারের সঙ্গী হয়নি: রিজভী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

কিছু নিকৃষ্ট ও লোভী ছাড়া কেউ সরকারের সঙ্গী হয়নি: রিজভী

জাতীয়

কিছু নিকৃষ্ট ও লোভী ছাড়া কেউ সরকারের সঙ্গী হয়নি: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম
Image not found

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি  

বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে দাবি করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কিছু নিকৃষ্ট ও লোভী ছাড়া কেউ সরকারের এই হীন কর্মের সঙ্গী হয়নি। আজ শুক্রবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদের নির্বাচনের ট্রেন চলতে শুরু করছে। কিন্তু তাদের ট্রেনের সব যাত্রী তো নৌকা আর আওয়ামী লীগের গণবিচ্ছিন্ন লোকজন। নগদ টাকায় ক্রয় করা কতিপয় উচ্ছিষ্ঠভোগী বেঈমান গণশত্রুকে ছলে বলে কৌশলে ভাগিয়ে নিয়ে ট্রেনে তুলেছে।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বিশ্বের সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তি এবং দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রত্যাশিত একটি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবর্তে শেখ হাসিনা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো আরেকটি ভোট ডাকাতির উৎসবের পথ বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশে যে তথাকথিত নির্বাচনের পায়তারা চলছে তা ভোটারদের নয়, জনগণের জন্য নয়, এটা হতে চলেছে শেখ হাসিনার আরেকটি কদর্য রাজ্যাভিষেকের উৎসব।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৫৭ সেকেন্ডে ৪৩ ভোটের খোয়াবে যারা আছে, তারা এলাকায় গেলে ভোটবঞ্ছিত মানুষের গণধোলাইয়ের শিকার হতে পারে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘসহ ইউরোপ-আমেরিকা নিশ্চিত হয়েছে যে, আরেকটি তামাশার পাতানো নির্বাচনরঙ্গ মঞ্চস্থ করতে চলেছে নিশিরাতের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণেজাতিসংঘ ঘোষনা করেছে এই ভুয়া নির্বাচনে তারা কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। অন্য সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। দেশ-বিদেশের সবাই শেখ হাসিনার আসন্ন অভিনব ভোট ডাকাতির ফরমুলা আগেভাগেই জেনে গেছে।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ সহযোগী রকিব কমিশন ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জনকে বিজয়ী করে রেকর্ড গড়েছেন। হুদা কমিশন ২০১৮ সালে রাতের আধারে ব্যালটে সিল দিয়ে ভোট ডাকাতির অভূতপূর্ব রেকর্ড তৈরি করেছে বিশ্বে আর এবার ফ্যাসিবাদের দোসর কাজী হাবিবুল আউয়াল শেখ হাসিনার পিক অ্যান্ড চুজ করা হবে ভোটের রাতে ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে।’

তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবরা যেসব কিংস পার্টি, তৃণভোজী পার্টি, ডামি পার্টি, খুদ-কুঁড়ো পার্টি এবং বিভিন্ন দল থেকে অচ্ছুত লোকজন হায়ার করে লোকজন নিয়ে এসে সমেত ডাকাতির নির্বাচনী ট্রেনে চড়েছেন, সেই ট্রেন গন্তব্যে পৌছাতে দেবে না মুক্তিকামী জনতা। সুমতি হলে তার আগেই শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ মডেলের নির্বাচনী মডেল থামিয়ে জনগণের দাবি মেনে নিন। অন্যথায় এক্সিডেন্ট অথবা পতন অনিবার্য।’

রিজভী বলেন, ‘ গোটা বিশ্ব যখন বাংলাদেশের ভোটাধিকার বঞ্চিত, গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে সরব তখন গত ১৫ বছর ধরে বিনা ভোটে বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতাদখল করে থাকা নাৎসিবাদী মাফিয়া শাসক শেখ হাসিনার পক্ষে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে রাশিয়া, চীন ও ভারত। রাশিয়া-চীনে তো গণতন্ত্র নেই। আমাদের কাছের প্রতিবেশী ভারত, যে রাষ্ট্রটি গণতান্ত্রিক। যেখানে গণতন্ত্রের ঐতিহ্য আছে। সেই ভারত সরকার সরাসরি কীভাবে একটি অগণতান্ত্রিক মনস্টার স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নেয়?’

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘তারা (ভারত) মুখে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে আছে বললেও তারা ১৮ কোটি জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যা অতীব দুঃখজনক। এই ভারতের সমর্থন শক্তিতে আওয়ামী লীগ লুটেরা লীগ দেশটাকে গিলে ফেলেছে। ১৫টা বছর ধরে কেউ ভোট দিতে পারছে না, লাখো মানুষ কারাবন্দী. কোটি কোটি মানুষ ঘরে থাকতে পারে না, প্রতি বছর কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন ডলার লুটে নিয়ে যায়।’

এ সময় সরকারের নানা চাপের দিকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, ‘সরকার বিএনপিকে ভাঙার এবং বিএনপি জোট থেকে কিছু দলকে লোভ দেখিয়ে প্রহসনের নির্বাচনে নেয়ার চেষ্টা করেছে। কিছু নিকৃষ্ট, লোভী ছাড়া কেউ সরকারের এই হীন কর্মের সঙ্গী হয়নি।’

Comment here