কুষ্টিয়া পৌর ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ত্রর পুত্র ইমন,প্রতারনার ফাঁদে সুমি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

কুষ্টিয়া পৌর ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ত্রর পুত্র ইমন,প্রতারনার ফাঁদে সুমি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে

মোহাঃ শাহ আলম রেজা : কুষ্টিয়া পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা লাবলুর  লম্পট পুত্র  ইমন(২১) কতৃর্ক একই ওয়ার্ডের উত্তর মিলপাড়া (চড় মিলপাড়া) এলাকার অসহায় দিন মজুর মৃত হবিবর মালিথার মেয়ে সুমী খাতুন (১৭) কুষ্টিয়া সৈয়দ মাসুদ রুমী ডিগ্রি কলেজের একাদশ  শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী সুমি খাতুনের সাথে লম্পট ইমনের ৮ মাস পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক হয়।
এ ছাড়াও তার সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লম্পট ইমন দীর্ঘদিন যাবত শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে। স্বার্থসিদ্ধী হওয়ায় লম্পট ইমন সুমীর পথ থেকে সড়ে আসতে শুরু করে। এরই সুবাধে গত এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে সুমীর সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ ছিন্ন করে এবং সাফ জানিয়ে দেয় সে সুমীকে বিয়ে করতে পারবেনা। সুমি তার সর্বস্ব হাড়িয়ে দিশে হারা হয়ে পড়ে। লম্পট ইমনকে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়ে গত ২০/৬/২০২০ ইং তারিখে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টায় সুমী দুই বোতল হেক্সিসল ও ১০ টি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে পৃথিবী থেকে চীর বিদায় নেওয়ার চেষ্টা করে। সুমীর অাত্ম চিৎকারে বাড়ির লোক ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করে। পরবর্তীতে স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসায় সুমীর জ্ঞান ফিরলে ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লাবলুর লম্পট পুত্র মোবাইল ফোনে মাধ্যমে সুমিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি প্রদান করায়  সুমী শয্য করতে না পেরে ২১/৬/২০২০ ইং তারিখে এসিড জাতীয় দ্রব্য পান করে পুনরায় পৃথিবীরমায়া ত্যাগ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আশংকজনক অবস্থায় পরিবারের লোকজন সুমিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে এবং হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ৭২ ঘন্টা সময় বেধে দিয়ে বলেন উক্ত সময়ের মধ্যে সুমী সুস্থতা ফিরে না পেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী সুমির বড় ভাই সোহেল মোল্লার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন,আমি আমার বোনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য  ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পুত্র সুমীর প্রেমিক
ইমনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার  অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফিরোজের সাথে  মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি ভুক্তভোগী সুমির সাথে কথা বলেছি তিনি আমাকে জানিয়েছেন ইমনের সাথে তার দৈহিক সম্পর্ক ছিলো।

Comment here