কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে অসহায় জনগণ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে অসহায় জনগণ

মেছবাহুল হাসান রানা,জেলা প্রতিনিধি,কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের চর বজরা গ্রামে তিস্তা নদীর ভাঙন রোধ করার জন্য সরকার ২০১৬ সালে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে স্পার বাঁধ নির্মান করেন।বাঁধের তীরবর্তী স্থানে জমির মালিকদের সাথে প্রতারণা করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং একদল উগ্রবাদী চক্র বোমা মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করেন।

এতে স্থানীয় সুশীল সমাজ বাধা প্রদান করলে উগ্রবাদী চক্র রাস্তা বন্ধসহ নানাভাবে তাদের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়।অত:পর উলিপুর উপজেলার ইউএনও এবং পুলিশ সুপারের সহায়তায় সুশীল সমাজ উগ্রবাদী চক্রের ধ্বংসলীলা বন্ধে সক্ষম হন।কিন্তু এর মধ্যেই গোটা কয়েক স্থানে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে তৈরি হয় বিশাল জলাধার।  এতে ২০১৯ সালের প্রলয়ঙ্করী  বন্যায় মেট্রোসিন বাঁধটি ধসে পড়ার উপক্রম হয়।সেই মুহূর্তে সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বিআইডব্লিউ) কতৃপক্ষের প্রচেষ্টায় ভাঙন রোধ করতে সক্ষম হন।

ভারতের সাথে পানি বন্টনের চুক্তিতে ফারাক্কা গেইট খুলে দিলে মেট্রোসিন বাঁধটির পূর্ব পার্শ্বে ১৫০ ফুট দুরে পানির হানায় ভাঙন শুরু হয়।নদী গর্ভে বিলীন হতে থাকে কয়েকশ বিঘা আবাদি জমি,রাস্তাঘাট এবং গাছপালা। ২ দিনে একটি গ্রাম ভেঙে নদীতে বিলীন হয়।এখনও এই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।এমতাবস্হায় জরুরী পদক্ষেপ না থাকায় ১১টি গ্রাম,২টি প্রাইমারী স্কুল,৩ টি মসজিদ,১টি ক্লিনিক এবং উলিপুর-হরিপুর নবনির্মিত মহাসড়ক  হুমকির মুখে। এমনকি ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মেট্রোসিন বাঁধটিও ঝুকির মধ্যে অবস্হান করছে।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়,সেখানে প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধির(চেয়ারম্যান,সাংসদ) কোনো দৃষ্টি নেই।এমতাবস্থায় জনসাধারণ কর্তৃপক্ষের সহায়তার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।

Comment here