কুয়েতে ৯০০ মানুষকে পাচারকারী চক্রের সদস্য তিনি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
আন্তর্জাতিক

কুয়েতে ৯০০ মানুষকে পাচারকারী চক্রের সদস্য তিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুয়েতের আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা আমির হোসেন ওরফে সিরাজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তিনি কুয়েতের আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সিআইডি সদর দপ্তরে সহকারী পুলিশ সুপার (এসএসপি) মো. জিসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ১৭ আগস্ট সিআইডির একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নরসিংদীর মাধবদী পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা আমীর হোসেন ওরফে সিরাজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সিআইডি সূত্রে জানা যায়,  বিদেশি গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, চারজন কুখ্যাত মানব পাচারকারী দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার করে আসছিল। এ চক্রের সদস্যদের হাতে ৯০০ এর অধিক মানুষ (ভিকটিম) কুয়েতে পাচারের শিকার হয়। জন প্রতি ছয় লাখ বা তার অধিক টাকার বিনিময়ে তারা মানুষকে কুয়েতে পাচার করে।

উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে কুয়েতে পাচারের পর ভিকটিমদের ওপর নেমে আসে দুর্বিষহ জীবন। প্রতারিত বাংলাদেশি নাগরিকরা কুয়েতে কোনো কাজের সন্ধান পায়নি, বরং সেখানে খাদ্য ও বাসস্থান সংকটের ফলে উদ্বাস্তু অবস্থায় কুয়েতের রাস্তায়-রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হয়।

সিআইডি আরও জানায়, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে ভিসাগুলো নেওয়া হয়েছে বলে  জানা যায়। তাদের মধ্যে কয়েকজন ভিকটিম কুয়েতের সরকারী এজেন্সি ও জনশক্তি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে তারা বিষয়টি তদন্ত শুরু করে।

কুয়েত এজেন্সি তদন্তে চক্রটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায় এবং অভিযোগটির নিরিখে কুয়েতের আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে এ চক্রের চার সদস্যের (১ জন কুয়েতি ও ৩ জন বাংলাদেশি) বিরুদ্ধে কুয়েতের আদালত অভিযোগ আমলে নেয়।

ইতিমধ্যে উল্লেখিত আদালত তাদের ৩  বাংলাদেশির বিরুদ্ধে তিন বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে। এ চক্রের অন্যতম সদস্য কুয়েতি নাগরিক ৬ বছরের সাজা প্রাপ্ত হয়ে কুয়েতে কারা ভোগ করলেও সম্পৃক্ত ৩ বাংলাদেশি মানব পাচারকারী যেকোনো উপায়ে দেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। সম্প্রতি সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম এ সকল তথ্যের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে আমীর হোসেন ওরফে সিরাজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে।

Comment here