কোভিড সংক্রমণের সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২১৮৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সঙ্গে ধীরে ধীরে বাড়ছে মৃত্যুও। আগের দিন সকাল ৮টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার একই সময় পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ জন কোভিড রোগীর মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা ১৫ সপ্তাহে সর্বোচ্চ। গত ১১ মার্চের পর একদিনে এত মৃত্যু আর ঘটেনি। সেদিন ৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীও ২ হাজারের ওপরেই রয়েছে। এ নিয়ে টানা চতুর্থ দিন ২ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হলো।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে ১৩ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ১৮৩ রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয়। তাদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ

৭৩ হাজার ৭৮৫ জন। নতুন করে চারজনের মৃত্যুতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ১৪৯ জন। তবে এ সময় কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন ২৯০ জন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৭ হাজার ৫০৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

মহামারী শুরুর দুবছর গড়িয়ে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে এসেছিল। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে একপর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে আসে। গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল বেশ কিছু দিন। তবে গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে। এগারো সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন একশ ছাড়িয়ে যায়। ১৫ দিনের মাথায় গত সোমবার তা দুই হাজারের ঘরও ছাড়ায়। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৫.৭০ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৫.২৩ শতাংশ। এখন দৈনিক রোগী শনাক্তের হার আবার সার্বিক গড় শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে। এ অবস্থাকে মহামারীর ‘চতুর্থ ঢেউ’ বলা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। এ জন্য মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আবারও জোর দেওয়া হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীর মধ্যে ১৭২৭ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। দেশের আটটি বিভাগের ৪৯টি জেলায় ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের একজন ঢাকা বিভাগের। বাকি দুজন চট্টগ্রাম বিভাগে এবং একজন রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার বাসিন্দা। তাদের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া জানান, এদিন ৭৫ বছর বয়সী মমতাজ উদ্দিন নামে শিবগঞ্জ উপজেলার এক বাসিন্দা সজিমেক হাসপাতালে কোভিডে মারা যান।