কোয়ারেন্টিনের জন্য সিলেটে দুটি হোটেল প্রস্তুত - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

কোয়ারেন্টিনের জন্য সিলেটে দুটি হোটেল প্রস্তুত

নিজস্ব প্রতিবেদক : যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে সরাসরি প্রায় ৬০ জন যাত্রী সিলেটে আসার কথা রয়েছে। এসব যাত্রীর কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে নগরীতে দুটি আবাসিক হোটেল প্রস্তুত করা হয়েছে। সোমবার তারা দেশে ফেরার পর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এসব যাত্রীকে সব যাত্রীকে নিজ খরচে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে রোববার সিলেট বিভাগীয় করোনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের রাখতে সভায় হোটেল নির্ধারণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের দরগাগেইটস্থ হোটেল হলি সাইড ও দরগা গেইটস্থ হোটেল স্টার প্যাসিফিকে রাখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়লেও বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট যোগযোগ অব্যাহত আছে। নতুন ধরণের সংক্রমণ ঠেকাতে চলতি মাসের প্রথম থেকে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের এ ক্ষেত্রে নিজ খরচ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

সপ্তাহের প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের ফ্লাইট আসে বলে জানিয়েছে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি সূত্র। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০৫ জন যাত্রী সিলেটে এসেছেন, তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, ‘এ মাসের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে যারা লন্ডন থেকে আসবেন তারা সরকার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে বাধ্যতামূলক ১৪দিন থাকতে হবে নিজ খরচে। আমাদের কাছে পরবর্তী সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি।’

সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (কোভিড-১৯ ও গণমাধ্যম শাখা) শাম্মা লাবিবা অর্ণব এ ব্যাপারে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সিলেটে যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে দুটি হোটেল চূড়ান্ত করা হয়েছে। কাল ওই দুটি হোটেলে যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের রাখা হবে। যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পরবর্তী সময়ে অন্য হোটেলের ব্যবস্থা করা হবে। সরকারি খরচে বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের হোটেলে নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা।’

 

Comment here