নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আপিল বিভাগে আজ বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে। এ শুনানিতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রতিবেদন উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।
গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া আমাদের সময়কে জানান, তিনি প্রতিবেদনটি পাননি। অবশ্য মেডিক্যাল বোর্ডের এক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে গতকাল মধ্যরাতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মেডিক্যাল বোর্ড প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রতিবেদনটি বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা। এ বিষয়ে গতকাল উপাচার্য আমাদের সময়কে বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুসারে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পর্যালোচনাসভা করেন। কিন্তু আমার কাছে বোর্ড এখনো প্রতিবেদন দেয়নি। ফলে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবেদনটি দাখিলে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির বেঞ্চে আজ এ জামিনের শুনানি হওয়ার কথা। ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন চেয়ে শুনানির এই দিন ধার্য করা হয়েছিল। বিএসএমএমইউয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া।
এদিকে এ শুনানি ঘিরে গতকাল রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে বসে দলটির স্থায়ী কমিটি। গত শনিবারও স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের ধারণা- সরকারের দিক থেকে বাধা না এলে এ মামলায় খালেদা জিয়া জামিন পাবেন। অন্যথায় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন ছাড়া বিএনপির বিকল্প থাকবে না। অবশ্য আজ জামিন হলে বা না হলেও বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই। নেতাকর্মীদের প্রতিও বিশেষ কোনো নির্দেশনা নেই।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আমাদের সময়কে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি উচ্চ আদালত থেকে খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন। জামিন পাওয়া তার ন্যায়সঙ্গত অধিকার।
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিন প্রয়োজন। মামলা দুটিতে তার জামিন আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
Comment here