নিজস্ব প্রতিবেদক : গণতন্ত্রের নামে কোনো অপশক্তি দেশের বিদ্যমান শান্তি ও স্বস্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
আগামী দুই মাসের মধ্যে বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের মাঠে নামার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,‘বিএনপি মাঠে থাকুক তা আমরাও চাই। গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই জনগণ চায়। আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাস সৃষ্টি, জন-ভোগান্তি এবং জনমালের ক্ষতি সরকার মেনে নেবে না।’
বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের ওপর মামলা-হামলার কল্পিত অভিযোগের ভাঙা রেকর্ড বাজানো এখনো অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আসন্ন উপ-নির্বাচনে ভরাডুবির আশংকায় তারা এখন থেকেই হামলার মিথ্যা অভিযোগ করছে। ভোটারদের আস্থা অর্জনে তাদের কোনো পুঁজি নেই, তাই বিএনপি মিথ্যাচারের ভেলায় চড়ে উত্তাল সাগর পাড়ি দেওয়ার অপচেষ্টা করছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রার্থীরা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে চাইলেও বিএনপির হাইকমান্ডের অপরাজনৈতিক কৌশলের কারণে প্রার্থীরা ভোটের নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় একান্ত অনিচ্ছায়। নির্বাচন করা বিএনপির আসল লক্ষ্য নয়, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।’
তিনি বলেন, ‘অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার স্বোচ্চার,অনিয়ম উদঘাটন করে সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে,কারো চাপে পড়ে নয়।যাদের হাত দিয়ে এ দেশে দুর্নীতি বটবৃক্ষে রূপ নিয়েছিলো তারা দুর্নীতির আন্দোলন করবে- এ কথা শুনলে জণগণের হাসি পায়।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি সমর্থিত বুদ্ধিজীবীদের মতে তারা এখন কোমর ভাঙা রাজনৈতিক দল। নির্বাচন ও কমিটি গঠনের সময় এলে বিএনপি নেতারা বাণিজ্য করছে বলে তাদের কর্মীদের প্রকাশ্যে অভিযোগ আছে, তাই তারা নাকি অনিয়ম দূর করার আন্দোলন করবে? জণগণ তা বিশ্বাস করেনা।’
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি গঠন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যে সকল কমিটি জমা পড়েছে সে সকল কমিটি যাচাই বাছাই করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিয়ে কমিটি করতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। পরে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মাঝে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দ।
Comment here