গণধর্ষণের পর রাস্তায় ফেলে গেল প্রেমিক রক্তাক্ত প্রেমিকাকে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ক্রাইম

গণধর্ষণের পর রাস্তায় ফেলে গেল প্রেমিক রক্তাক্ত প্রেমিকাকে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় এক তরুণীকে দুইদিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ভুক্তভোগী তরুণীর প্রেমিকসহ পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রুপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী তরুণীকে উপজেলার পিতলগঞ্জ পশ্চিমপাড়া এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত মারধর করে এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে প্রেমিকসহ তার সহযোগীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান তারা।

ওই তরুণীর দায়ের করা মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে এসআই রফিকুল হক জানান, পিতলগঞ্জ এলাকার গোলজার মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনের মাধ্যমে কিছুদিন আগে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার প্রেমিক রাসেল তার প্রেমিকাকে কাঞ্চন ব্রিজের নীচে দেখা করতে বলেন। পরে ভুক্তভোগী তরুণী রাত ৮টার দিকে কাঞ্চন ব্রিজের নিচে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যান।

প্রেমিক রাসেল এ সময় তার বাবা মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে একটি সিএনজিতে করে পিতলগঞ্জ পশ্চিমপাড়ার রফিক মিয়ার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যান।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, সেখানে নেওয়ার পর ভুক্তভোগী তরুণীকে মারধর করে এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে রাসেল তাকে ধর্ষণ করেন। পরে পিতলগঞ্জ পশ্চিমপাড়া এলাকার আহসান উল্লাহর ছেলে আশিক মিয়া, সিরাজ মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া, হারিন্দা টেকপাড়া এলাকার হযরত আলীর ছেলে সামছু দোহাই ও তাদের বন্ধু নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার সুন্দরখাতা এলাকার আহাম্মদ আলীর ছেলে শের আলী ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করেন। ওই ঘরেই দুইদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের পর ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার মধ্যরাতে তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে  ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যান। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণী একটি সিএনজি চালকের সহায়তায় সেখান থেকে রূপগঞ্জ থানায় গিয়ে ঘটনার বর্ণনা করে রাসেলসহ পাঁচজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করে।

রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. এমদাদুল হক জানান, তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Comment here