গাইবান্ধার ৭শত পরিবার ও ৩শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী পারাপারের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

গাইবান্ধার ৭শত পরিবার ও ৩শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী পারাপারের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু

পলাশবাড়ী গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ- সীমান্ত এলাকা হলে দুই পারের মানুষের কষ্টের কথা শোনার কেউ থাকে না ৷ হাজার কথার ফুলঝুরি ও প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে রুপ পায় না কোনটাই ৷ তেমনি একটি গ্রাম মেঘারচর ৷
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের নলিয়া নদীর উপরে মেঘার চর আমিনের ঘাটে দীর্ঘদিন থেকে পারাপারের একমাত্র অবলম্বন এই কাঠের সেতু ৷
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই অবহেলিত এ গ্রামে চরম জনদূর্ভোগ পোহাতে হয় ৷ শুধু বর্ষা মৌসুমেই নয় খরা মৌসুমেও নদীতে হাঁটু জল থাকায় সারা বছর জুড়েই এ প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের যাতায়াত, ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসা, স্কুল- কলেজসহ সাধারন পারাপারে অসহনীয় কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে ৷
এলাকাবাসীর অভিযোগ এলাকাটি পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ দুই উপজেলার সংযোগস্থল হওয়ায় কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না ৷ বিগত সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে আর কখনো খোঁজখবর নেননি ৷
পলাশবাড়ীর বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তোফাজ্জল হোসেন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল আলম পলাশবাড়ী উপজেলায় কর্মরত থাকাকালীন বর্ষা মৌসুমে এক সময় অত্র এলাকা পরিদর্শনে গেলে পরবর্তী বাজেটে উক্ত আমিনের ঘাটে ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস প্রদান করেন ৷ পরবর্তীতে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাই বদলী জনিত কারনে তাদের অন্যত্র চলে যেতে হয়৷ স্বপ্ন পুনরায় অধরাই থেকে যায় মেঘারচর এলাকাবাসীর।
মেঘারচর এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী অত্র এলাকায় একটি ব্রীজ নির্মাণ করে অসহায় অবহেলিত এই দূর্গম অঞ্চলের মানুষের দুঃখ কষ্ট লাঘব করার জন্য একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হউক ৷ এ ব্যাপারে তারা স্থানীয় সরকার (এলজিইডি), দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় ও বর্তমান মাননীয় সাংসদসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন৷ যাতে আগামীতে মিথ্যা আশ্বাস না দিয়ে দৃশ্যমান একটি ব্রীজ নির্মাণ করে এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয় ৷
অত্র দুই পারের সকলের মনে প্রশ্ন আদৌ কি মেঘারচরের আমিনের ঘাটে চলাচলের সংযোগস্থলের জন্য স্বপ্নের একটি ব্রীজ নির্মাণ কি কখনো সম্ভব হবে না ।

Comment here