গাজীপুরে কারখানায় বিস্ফোরণে দগ্ধ ২১ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

গাজীপুরে কারখানায় বিস্ফোরণে দগ্ধ ২১

গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার দক্ষিণ জরুন এলাকার একটি কারখানায় গ্যাসলাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই কারখানার কমপক্ষে ২১ জন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।

আজ সোমবার সকালে মন্ডল গ্রুপের কটন বিডি কারখানায় এ ঘটনা ঘটেছে। দগ্ধদের মধ্যে ইতিমধ্যে ১৮ জনের নাম জানা গেছে।

দগ্ধদের মধ্যে ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে এবং ১১ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।

advertisement

শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন- সবুর (৩৫), ফজলুল হক (৫২), আসলাম শিকদার (২৮), মো. আব্দুল হক (৬০), সোহেল রানা (৩০), মো. আল আমিন (৩৪), চান মিয়া (৫০), মো. সাহাবুল ইসলাম (৩৫), মো. হৃদয় (১৭), মো. খোকন (৪৫) ও ফজলুল হক (৫১)।

ঢামেক বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছেন তারা হলেন-তৌসিফ (৩২), আরিফ (২২), আবুল হোসেন (৩৫), রাকিব (৪০), রাশেদ (৩০), রফিকুল (৩২) ও বাবুল (৩৫)।

হাসপাতালে নিয়ে আসা শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, মন্ডল গ্রুপের ওই ফ্যাক্টরির গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে আগুন লেগেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টার কিছু সময় পর গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার দক্ষিণ জরুন এলাকায় মন্ডল গ্রুপের কটন বিডি কারখানায় গ্যাসলাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে ওই কারখানার কমপক্ষে ২১ জন শ্রমিক দগ্ধ হয়। এ সময় কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নেভানো হয়। পরে দগ্ধ শ্রমিকদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: ধূপখোলায় সড়কে গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ ৯

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ১০ জন ও শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ১১ জনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, ‘গাজীপুর থেকে দগ্ধ অবস্থায় ১১ জন আমাদের এখানে এসেছেন। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।’

কাশিমপুর ডিবিএল ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম জানান, বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নেভানো হয়।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন বলেন, ‌‘সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোনো ভিকটিম পাইনি, পরবর্তী সময়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ১৬ জন ভিকটিমের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি। গ্যাসলাইনের ওভার ফ্লো থেকে বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করছি।’

এ বিষয়ে গাজীপুর তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি।

Comment here