গাজীপুরে চলন্ত বাসে কিশোরীকে ‘ধর্ষণচেষ্টা’ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢাকাসমগ্র বাংলা

গাজীপুরে চলন্ত বাসে কিশোরীকে ‘ধর্ষণচেষ্টা’

মোঃ হুমায়ূন কবির : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় এক কিশোরীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশের সাহায্যে দুই পরিবহন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। এ সময় ওই কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়া থানার আমড়া গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে জুয়েল (২৮) ও নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার চন্দনকান্দি গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে আশিক (২২)। তারা দুজনই পরিবহনের চালকের সহকারী। তবে পরিবহনের চালক হারুন মিয়া পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।ads

ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বরাত দিয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক জানান, ওই কিশোরী ঢাকার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে বিনোদনমূলক নানা ধরনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। আজ রোববার গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে একটি বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বের হয় সে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর থেকে মাওনা পর্যন্ত চলাচলকারী চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের একটি বাসে উঠে সে। কিছু দূর আসার পর বাসে নিয়োজিত পরিবহন শ্রমিকরা অন্য যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেয়।

ওসি আরও জানান, এ সময় বাসচালক জানান, তাদের সমস্যা থাকলেও কিশোরী যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন। পরে বাস নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই কিশোরীকে গন্তব্যে না নামিয়ে মাওনা চৌরাস্তার উড়াল সেতুর উপর বাস থামানো হয়। এরপর বাসের ভেতর ওই কিশোরীকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় পরিবহন শ্রমিকরা। এ সময় ওই কিশোরী আত্মরক্ষার্থে পা দিয়ে বাসের জানালার কাচ ভেঙে ফেলে এবং চিৎকার শুরু করে। স্থানীয় পথচারীরা এ ঘটনা দেখতে পেয়ে হাইওয়ে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে দুই পরিবহন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেন। তবে বাসচালক পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে গতকাল রাতেই মামলা দায়ের করে। অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা গেলেও চালক পালিয়ে যান। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

Comment here