মো. মাহফুজুর রহমান : বঙ্গোপসাগর আপাতত শান্ত থাকলেও শিগগির তা উত্তাল হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাস অনুযায়ী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সার্বিক বৃষ্টিপাত আবার বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, সামনের মাসে বঙ্গোপসাগরে ২টি নিম্নচাপের আশঙ্কা রয়েছে, যার একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এটি শক্তিশালী রূপ নিলে নামকরণ হতে পারে ‘কিয়ার’। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এ ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমেই শীতের আগমন ঘটতে পারে।
অধিদপ্তর সূত্র জানায়, পুবালি বৃষ্টিবলয়ের মেয়াদ ও শক্তি আরও বৃদ্ধি পেল! প্রাকৃতিক কারণে পুবালি বাতাস তার সময়সীমা ও শক্তি হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটিয়ে থাকে। সে হিসেবে বৃষ্টিবলয় পুবালি তার শক্তি বৃদ্ধি ও সময়সূচি আরও ৫ দিন বাড়িয়ে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ওপর সক্রিয় থাকতে পারে।
এদিকে আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত পুবালি বায়ু সক্রিয় থাকায় শারদীয় দুর্গাপূজা শুরুর প্রথম ৪ দিন দেশের অনেক এলাকায় আবহাওয়া বৃষ্টিভেজা থাকতে পারে, উপকূল থেকে মধ্য অঞ্চলের অনেক এলাকায় বেশ কয়েকদফা মাঝারি/ভারী বৃষ্টি হতে পারে, তবে একই সময় উত্তর অঞ্চলে আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে।
৬ অক্টোবর থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিতে শুরু করে ৯ অক্টোবরের ভেতরে তিরোধান সম্পন্ন করতে পারে। এ পুবালি বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বেশি সক্রিয়। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থেকে ৭ অক্টোবর রাতে বিদায় নিতে পারে।
এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে সাতক্ষীরা অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে, এবং কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিভাগের অনেক এলাকায় টানা বৃষ্টি ঘটাতে পারে। আর ১২ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবরের ভেতরে দেশ একটি শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
গত ৬ বছরে বঙ্গোপসাগরে অক্টোবর সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় : ২০১৩ সালে ঘূর্ণিঝড় পাইলিন আঘাত হানে ভারতের উড়িষ্যা অঞ্চলে, অন্ধ্রপ্রদেশে ২০১৪ সালে হুদহুদ, ২০১৬ সালে কায়ান্ত, ২০১৮ সালে উড়িষ্যায় তিতলি, ২০১৯ সালে ফণী ও বায়ু আঘাত হানে। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী মাসে ঘূর্ণিঝড় শক্তিশালী হলে নাম হতে পারে ‘কিয়ার’।
Comment here