চট্টগ্রাম বিভাগে অতি ভারি বর্ষণে ভূমিধসের আশঙ্কা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

চট্টগ্রাম বিভাগে অতি ভারি বর্ষণে ভূমিধসের আশঙ্কা

সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দেশের আট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভারি ও অতি ভারি বর্ষণ হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সারাদেশে কোথাও কোথাও ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটার বা তারও বেশি) বর্ষণ হতে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগে অতি ভারি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামীকাল শুক্রবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ আজ বৃহস্পতিবার জানান, দেশের কিছু কিছু জায়গায় অতি ভারি বৃষ্টি চলছে। পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ১৭৩ মিলিমিটার, চুয়াডাঙ্গায় ১৬৮ মিলিমিটার, ভোলায় ১৩৬ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ১৬৬ মিলিমিটার, চাঁদপুরে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ১০০ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে অনেক জায়গায়।

তিনি আরও জানান, উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী, রংপুর এবং ময়মনসিংহসহ অনেক জায়গায় বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টি থাকবে। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমতে থাকবে। রবিবারের পর আবহাওয়া শুকনো থাকবে।

পাহাড় ধসের আশঙ্কার বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এখন বৃষ্টি চলছে। আরও বৃষ্টি হতে পারে। ভারি বর্ষণে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে।

এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতাসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

Comment here