জাতিকে কাঁদানো বিমান দুর্ঘটনার ২ বছর আজ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
আন্তর্জাতিক

জাতিকে কাঁদানো বিমান দুর্ঘটনার ২ বছর আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৮ সালের ১২ মার্চ ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওনা হয় ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ। কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার আগ মুহূর্তে বিধ্বস্ত হয়। ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ওই ঘটনায় ৪ ক্রুসহ বিমানের ৭১ জনের সবাই হতাহত হন। তাদের মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি, ২২ নেপালি, ১ জন চীনাসহ ৪৯ জন নিহত হন।

ইউএস-বাংলার ক্যাপ্টেন আবিদ, ফার্স্ট অফিসার পৃথুলার মর্মান্তিক মৃত্যুর পাশাপাশি বিমানে থাকা যাত্রী প্রিয়ক ও তার কন্যা তামারা প্রিয়ন্ময়ী, সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদ, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আখতারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, রকিবুল হাসান, হাসান ইমাম, আঁখি মনি, মিনহাজ বিন নাসির, মতিউর রহমান, এসএম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানভিন শশী রেজা, বেগম উম্মে সালমা, মো. নুরুজ্জামান, রফিক জামান, তার স্ত্রী সানজিদা হক বিপাশা, তাদের ছেলে অনিরুদ্ধ জামান। এ রকম ২৬ বাংলাদেশির তাজা প্রাণ ঝরে যাওয়ার ঘটনা গোটা দেশের মানুষকে শোকে স্তব্ধ করে দেয়।

বলা হয়, অবতরণের আগে উড়োজাহাজটির অবস্থান (এলাইনমেন্ট) রানওয়ে বরাবর ছিল না। রানওয়ে থেকে ৪৪২ মিটার দূরে এটি বিধ্বস্ত হয়। তা ছাড়া পাইলটের সঙ্গে বিমানবন্দরের ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের কথোপকথনে ৪৭ সেকেন্ডের গ্যাপ ছিল।
ইউএস-বাংলার ওই উড়োজাহাজটি অবতরণের আগে বেলা ২টা ১৭ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড পর্যন্ত কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে ককপিটের স্বাভাবিক যোগাযোগ হয়। কিন্তু এর পর থেকে ৪৭ সেকেন্ড মানে ২টা ১৮ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড পর্যন্ত গ্যাপ ছিল। এর ঠিক ২৫ সেকেন্ড পরেই মানে ২টা ১৯ মিনিট ১০ সেকেন্ডে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়।

পাইলট আর কন্ট্রোল টাওয়ার একজনের প্রশ্নের জবাব আরেকজন দিচ্ছিলেন। এর পর কিছু সময়ের জন্য (৪৭ সেকেন্ড) কোনো জবাব ছিল না। সাধারণত উভয়পাশের কথোপকথন থাকে। এখানেই গ্যাপ। কিছু সময়ে ওভারল্যাপিং ছিল। স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল না।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিমানবন্দরের অবতরণ স্থান রানওয়ের ২০ এলাকা নাকি ০২ এরিয়াÑ এ নিয়ে বিভ্রান্তির খবর তখন প্রচার হয়েছিল। বাস্তবে বিষয়টি তা নয়। এ নিয়ে যে অডিওবার্তা ফাঁস হয়েছে তা সঠিক বলে মনে হয়নি প্রাথমিক তদন্তে। মূলত ২০ বলার পর কারেকশন ০২ বলা হয়েছে। এতে পাইলটের বিভ্রান্তির কিছু নেই।

উড়োজাহাজটির ত্রুটি ছিল কিনা এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন তখন বলেন, কোনো জাহাজ সার্টিফিকেট (এয়ারওর্দি) ছাড়া চলে না। তাই ত্রুটি ছিল এমনটি বলা যাবে না। আর পুরনো জাহাজ বলতে কোনো বিষয় নেই। জাহাজ পুরান হয় না। সমস্যা থাকলে পাইলট তা চালাবে না।

Comment here