জানুয়ারির আগে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া অসম্ভব : হোয়াইট হাউস - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
আন্তর্জাতিক

জানুয়ারির আগে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া অসম্ভব : হোয়াইট হাউস

অনলাইন ডেস্ক : কাগজে-কলমে আগামী জানুয়ারির আগে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের করোনা মোকাবিলায় গঠিত কমিটির সমন্বয়ক ডা. দেবোরাহ বার্ক্স। তবে এ সময়ের মধ্যেও ভ্যাকসিন পেতে হলে সঠিকভাবে সব কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।

করোনার একটি ভ্যাকসিন আগামী বছর শুরুর আগে পাওয়া কতটা বাস্তবসম্মত- এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে বার্ক্স এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন তৈরিতে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৮ মাস সময়ের দরকার। আর এটা তখনই সম্ভব যদি এক সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয়টি ভ্যাকসিনের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া যায়। এই কাজও দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করতে হবে। একক কোনো ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। বেশ কিছু ভ্যাকসিন তৈরি করতে হবে; যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন কাজ করবে।’

ডা. দেবোরাহ বার্ক্স বলেন, ‘এরপর এসব ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা দ্রুত চালানো দরকার। কাগজে-কলমে তখনই এটা সম্ভব। আমরা যদি এটা করতে পারি, বিশ্বজুড়েই যদি করা যায়। এটা সর্বশেষ তৃতীয় ধাপের পরীক্ষাতেও সফল হতে হবে। কারণ এর কার্যকরীতা প্রমাণের জন্য একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাইরাসটির সক্রিয় সংক্রমণ ঘটাতে হবে; সেটি প্রতিরোধও করতে হবে।’

এর আগে আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগামী নভেম্বরের মধ্যেই বিশ্বে করোনার যেকোনো একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। যদি পাওয়া যায় তাহলে নভেম্বরেই এই ভ্যাকসিনের ১০০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদনেরও লক্ষ্য ঠিক করেছেন তারা, যা আগামী বছরের জানুয়ারিতে ৩০০ মিলিয়ন ডোজে পৌঁছাবে।

এদিকে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ প্রশাসন করোনার জরুরি মুহূর্তের চিকিৎসার জন্য রেমডেসিভির প্রয়োগের যে অনুমতি দিয়েছে সে বিষয়ে হোয়াইট হাউসের এই সমন্বয়ক বলেন, ‘এটি করোনা চিকিৎসার প্রথম পদক্ষেপ।’

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হেলথ ইন্সটিটিউট করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রেমডেসিভিরের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালায়। এতে দেখা যায়, যেসব রোগীকে এই ওষুধ দেওয়া হয়েছে তারা অন্যদের তুলনায় দ্রুত সেড়ে উঠছেন। তবে ওষুধটি মৃত্যু হার কমানোর ক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি।

প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৭ হাজার ৫৫২ জন; যা বিশ্বে একক কোনো দেশে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৬৮ এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯১০ জন।

Comment here