নিজস্ব প্রতিবেদক : গণশুনানি না করে জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট এক রিটের শুনানি শেষে এ রুল জারি করেন।
রুলে জ্বালানি সচিব, জ্বালানি উপসচিব ও বিইআরসির চেয়ারম্যানকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
এর আগে গত ৮ আগস্ট জ্বালানি তেল ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের দামবৃদ্ধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। শুনানিতে তিনি বলেন, সরকার জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইনের বিধান লঙ্ঘন করেছে। কারণ আইনে আছে গণশুনানি করতে হবে, তারপর দাম বৃদ্ধি করতে পারবে বিইআরসি। এখানে দামবৃদ্ধির ক্ষেত্রে গণশুনানি হয়নি। দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধির একমাত্র এখতিয়ার বিইআরসির।
রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, গণশুনানি ছাড়া দাম বৃদ্ধির সুযোগ নেই। এখানে মন্ত্রণালয়ের দাম নির্ধারণ করার এখতিয়ার নেই। মন্ত্রণালয় দাম বৃদ্ধি করে বিইআরসির ক্ষমতা খর্ব করেছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় আদালতে বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের বিধি অনুমোদিত হয়নি। যে কারণে আইনের বিধান অনুসারে কমিশনের এখানে গণশুনানির সুযোগ নেই। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। সরকারের সিদ্ধান্তে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট রাতে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।ডলার সংকট এবং বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে তারা জ্বালানি তেলের এ দাম বাড়ায় বলে জানায়।
তখন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে ১ লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
Comment here