‘টাকা ছিটানো’ নিয়ে যা বললেন ডিএসসিসির সেই কর্মকর্তা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢাকাসমগ্র বাংলা

‘টাকা ছিটানো’ নিয়ে যা বললেন ডিএসসিসির সেই কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে করোনাভাইরাসের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়া নাগরিকদের মধ্যে টাকা ছিটিয়ে অনুদান দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ এমদাদুল হক। টাকা ছিটানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে।

ফারদিন নোটস নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী অফিসার শাহ মোহাম্মদ ইমদাদুল হক টাকা ছিটিয়ে দিচ্ছেন রাস্তায়। দরিদ্র খেটে-খাওয়া মানুষ সেটা প্রাণপণে কুড়িয়ে নিচ্ছেন। ব্রিটিশ কলোনিয়াল মগজধারী আমাদের এইরূপ সামন্তবাদী ব্যাপার স্যাপার খুবই ভালো লাগছে। আপনার ভালো না লাগলে আপনি মানবতাবিরোধী অমানুষ!’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, একটি কালো রঙের পাজেরো গাড়ি। ভেতর থেকে কেউ একজন টাকা বিলাচ্ছেন। খেটেখাওয়া ও দরিদ্র শ্রেণির অনেক মানুষ সেই গাড়ির জানালা দিয়ে টাকা নেওয়ার জন্য উপচে পড়ছেন। অপর দুটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মাটিতে অনেক টাকা পড়ে রয়েছে। দরিদ্র শ্রেণির সেসব মানুষ ওই টাকাগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছেন।

জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ এমদাদুল হক সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করছেন। তারই অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার নগরীর সায়েন্সল্যাব থেকে নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজ এলাকার সড়কে দরিদ্র মানুষের মধ্যে নগদ টাকা বিতরণ করতে বের হন তিনি। টাকা বিতরণের একপর্যায়ে মানুষের ভিড়ে দিশেহারা হয়ে ওঠেন এমদাদুল হক। পরে রাজপথে ১০০ টাকার বান্ডেল ছুড়ে মারেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে নোটগুলো কুড়িয়ে নিতে হতদরিদ্র লোকজন লেগে যায় কাড়াকাড়িতে। এমন দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে।

তবে বিষয়টিকে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখছেন এমদাদুল হক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তো গত কয়েকদিন ধরে সাধারণ মানুষের মাঝে অর্থ বিতরণ করে আসছি। কিন্তু কেউ তো সেগুলো নিয়ে একটি নিউজও করেনি। এই ঘটনায় নিউজ করা কি ঠিক হয়েছে?’

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সায়েন্স ল্যাব থেকে ঢাকা কলেজ পর্যন্ত এলাকায় দরিদ্র মানুষকে অর্থ বিতরণ করেছি। এ সময় একজন পুলিশ অফিসারও ছিলেন। মানুষ আমার গাড়ির ওপর আছড়ে পড়ে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আমি আমার ড্রাইভারকে দ্রুত চলে যেতে বলি। কিন্তু আমরা যেতেও পারছি না। চারদিকে মানুষ। তখন আমার হাত গাড়ির বাইরে ছিল। একপর্যায়ে হাত থেকে টাকা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি।’

এ বিষয়ে ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। এটা কীভাবে, কেন করা হলো, আমি খতিয়ে দেখব।’

Comment here