মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় সেতু ভেঙে আন্তঃনগর ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের কয়েকটি বগি খালে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন- কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়নের গুপ্ত গ্রামের বাসিন্দা বারি মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা পারভীন (৪৫)। স্বজনেরা তার লাশ শনাক্ত করেছেন।
আজ সোমবার ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে জেলার সিভিল সার্জন শাজাহান কবীর চৌধুরী জানান, এই ঘটনায় পাঁচজনের মরদেহ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কুলাউড়া ও মৌলভীবাজার হাসপাতালে মোট ৬৭ জন আহত ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে ভোরেই ৭টি সচল বগি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে দুর্ঘটনা কবলিত উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি। তবে সেতু ভেঙে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। কুলাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, রোববার রাত ১২টার দিকে সিলেট থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে উপজেলার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ করছে এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযানে স্থানীয়রাও অংশ নিয়েছেন।
গতকাল রাত তিনটার দিকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় দুটি বগি সেতু ভেঙে খালের পানিতে উল্টে পড়ে গেছে। এ ছাড়া আরও তিনটি বগি স্থলভাগের সীমানায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছে। মোট পাঁচটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কুলাউড়া স্টেশন ম্যানেজার অপেন কুমার সিং এই ঘটনায় ছয়জন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। পরে রাত পৌনে ৪টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৫-২০ জন আহত রয়েছেন।’
Comment here