ঢাকার মান ভাঙাতে মাঠে নামছে দিল্লি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
আন্তর্জাতিক

ঢাকার মান ভাঙাতে মাঠে নামছে দিল্লি

নিজস্ব প্রতিবেদক :ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিকপঞ্জিসহ (এনআরসি) নানা ইস্যুতে সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে বলে অতীতে খবর প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এক খবরে পত্রিকাটি দাবি করেছে, ঢাকার মান ভাঙাতে অবশেষে মাঠে নেমেছে দিল্লি।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে ভারতের যে মন কষাকষি চলছিল তাতে ঘৃতাহুতি হয়েছে নয়া নাগরিকত্ব আইন পাস। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশকে এক বন্ধনীতে রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বারবার উল্লেখ-ফের ভারত থেকে শরণার্থী যাওয়ার আশঙ্কা, শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কলকাতা সফরে কেন্দ্রের কোনো প্রতিনিধির না থাকাসহ সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতা তীব্র হয়েছে। তার জেরে সম্প্রতি বাংলাদেশের দুজন মন্ত্রী এবং একটি সরকারি প্রতিনিধি দলের ভারত সফর বাতিল করে দিয়েছে ঢাকা।

এ অবস্থায় প্রতিবেশীদের মধ্যে একমাত্র ভরসাযোগ্য রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের চলতি গ্রহণদশা কাটাতে বাড়তি পদক্ষেপ চাইছে সাউথ ব্লক। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর অবশ্যই সে উদ্যোগের প্রধান বিষয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে পরবর্তী পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্বে এনেও বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকে বার্তা দিতে চাইছে মোদি সরকার। বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং শ্রীলংকার ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব হিসেবে আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন হর্যবর্ধন। ঢাকায় তিনি শুধু ভারতীয় হাইকমিশনারের দায়িত্বই সামলাননি, সেখানে তার জনপ্রিয়তাও ছিল বিপুল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উৎসবে তাকে নিয়ে তথ্যচিত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্প এবং অনুষ্ঠানে জড়িয়ে রয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, শ্রিংলা জানুয়ারির শেষে দায়িত্ব পাওয়ার পরই এই অনুষ্ঠানগুলো সফল করার কাজে হাত দেবেন। ঢাকায়ও যাবেন তিনি। এই উৎসবকে সামনে এনে নতুন পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্তরে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে মেঘ কাটাতে।

গত অক্টোবর মাসে দিল্লি সফরে এসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি দেশের নেতাসহ কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষে। সেই তালিকায় রয়েছেন-ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, ইউনেস্কোর প্রাক্তন মহাসচিব ইরিনা বুকোভা ও আরব লিগের প্রাক্তন মহাসচিব আমর মুসার নাম। আমন্ত্রিতের তালিকায় আরও রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, বিজেপির প্রবীণ নেতা এলকে আদভানি, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ প্রমুখ।

Comment here