ঢাকা-১০ : ধানের শীষের এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢাকাসমগ্র বাংলা

ঢাকা-১০ : ধানের শীষের এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শেখ রবিউল আলমের এজেন্টদের গ্রেপ্তার ও বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বেশ কয়েকজন এজেন্টসহ মোট ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৮৫০ জন এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

হাজারীবাগ থানা বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান মজু জানান, নিউমার্কেট সমাজকল্যাণ কেন্দ্র থেকে বিএনপির সাতজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

সকাল ৯টার দিকে হাজারীবাগ থানা যুবদলের সভাপতি লিটন এবং ছাত্র নেতা সেলিমকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেছে বলেও জানান তিনি।

ধানমন্ডির ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কেন্দ্র, কাঠালবাগান খান হাসান স্কুল, নিউমার্কেট বলাকা সিনেমা হল কেন্দ্র, রায়ের বাজার হাইস্কুল কেন্দ্র, রাজমশুর স্কুল ও প্রগতি স্কুল কেন্দ্র থেকে বিএনপির সকল এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের লোকজন সব কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ধানমন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটদান শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন।

শেখ রবিউল আলম রবি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এক হয়ে সব কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের লোকজনকে বের করে দিয়েছে। আবারও একটি ব্যর্থ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এমন নির্বাচন না করে ঘোষণা দিলেই পারত।

তিনি বলেন, সরকার এতই ভীতু, করোনা উপেক্ষা করে মানুষ ভোট দিতে আসলেও ভোট দিতে পারছে না। নির্বাচনকে একটি প্রহসনে পরিণত করছে। নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। প্রায় ৮৫০ জন এজেন্টের বের করে দিয়েছে।

ধানের শীষের এই প্রার্থী বলেন, ‘প্রার্থী হিসেবে আমি ভোট দিতে পেরেছি, এটা আমার সৌভাগ্য। কিন্তু জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না।’

এদিকে সাংবাদিকের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ধানমন্ডির একটি কেন্দ্রে মানবজমিনের এক ফটোসাংবাদিককে সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সাংবাদিকের নাম জীবন আহমেদ।

তিনি বলেন,‘ আমি ধানমন্ডির একটি কেন্দ্রে ছবি তুলতে গেলে পুলিশ আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।  তারা আমাকে বলে ১২টার পর আসার জন্য। পরে আমি অন্য একটি কেন্দ্রে গেলে পুলিশ এবং সরকারদলীয় লোকজন আমাকে বাধা দেয়।’

Comment here