ঢাবিতে গায়েবানা জানাজা, এক ছাত্রের অবস্থান কর্মসূচি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
শিক্ষাঙ্গন

ঢাবিতে গায়েবানা জানাজা, এক ছাত্রের অবস্থান কর্মসূচি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক : ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে নওগাঁ এবং লালমনিরহাট সীমান্তে মোট সাত বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে সারাদেশে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে নিহতদের গায়েবানা জানাজা আদায় করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ শনিবার বিকেলে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ জানাজা আদায় করা হয়। পরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন নাসির আবদুল্লাহ নামে এক শিক্ষার্থী।

নাসির আবদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ কোর্সে অধ্যয়নরত। তিনি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

গায়েবানা জানাজায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক অধ্যাপক খন্দকার রাকিব। জানাজার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিনা বিচারে, বিনা অপরাধে অনেককে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে আহত করেছে তারা (বিএসএফ)। তার চেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে ভারত আমার দেশের নাগরিকদের কোনো নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে হত্যা করছে। এর কোনো প্রতিকার বাংলাদেশ সরকার করছে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

গায়েবানা জানাজার একটি মিছিল নিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘সীমান্তে হত্যা কেন, শেখ হাসিনা জবাব চাই’ শ্লোগানে মুখরিত ছিলো ক্যাম্পাস।

মিছিলের পর রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচিতে বসেন ঢাবির ছাত্র নাসির আব্দুল্লাহ। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা প্রতিনিয়ত একের পর এক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করেই চলছে। তাদের যদি অপরাধ থাকে তাহলে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করবে। হত্যা করবে কেন?’

তার অবস্থান কর্মসূচি সীমান্ত হত্যা বন্ধে কতটুকু কার্যকরী জানতে চাইলে নাসির বলেন, ‘বর্তমান তরুণ সমাজ সব বিষয়ে সচেতন। তরুণ সমাজ চাইলেই সরকারের টনক নড়বে। সে জায়গা থেকে বলতে পারি সীমান্ত হত্যা বন্ধ হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত পাশাপাশি রাষ্ট্র তাই চলতে গেলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চুক্তি হবেই, কিন্তু ভারত সরকার প্রত্যেক জায়গায় খবরদারি করে আসছে ফলে একটি অসম চুক্তি হয় সব জায়গায়।’

প্রসঙ্গত, ক্রমাগত সীমান্ত হত্যা বেড়েই চলেছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিশের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০১৯ সালে ৩৮ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। যা আগের বছরগুলোর তুলনায় প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। অন্য একটি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে শারীরিক নির্যাতনসহ ২০১৯ সালর সীমান্তে মোট ৪৩ জনকে হত্যা করেছে বিএসএফ।

Comment here