গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার পর মরদেহ বালুর নিচে চাপা দিয়ে রাখার ঘটনায় দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ সোমবার বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার কিশোররা হলো যশোরের ঝিকরগাছা থানার কুন্দিপুর এলাকার মো. রাসেল ওরফে রাহুল (১৪) ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানার বাগবাড়ি এলাকার সবুজ (১৪)। আজ বিকেলে গাজীপুর পিবিআইয়ের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।
পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা জানান, গত ২৯ অক্টোবর কাশিমপুর বাগবাড়ী এলাকার ক্যাপ ফ্যাক্টরির পশ্চিম পাশে মো. কফিল উদ্দিনের নির্মাণাধীন পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের বালুর নিচ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক শিশুর মাথার খুলি, ১৯টি হাড়, চামড়া ও একটি হাফপ্যান্ট উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটি ওই এলাকার মনোয়ারের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে রিয়া মনি বলে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। শিশু নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর এ ঘটনায় ৩০ অক্টোবর শিশুটির মা শ্যামলী বেগম অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কাশিমপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। শিশুটির বাবা-মা স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
আলোচতি এ মামলাটি পিবিআইয়ের হাতে ন্যস্ত হলে গত রোববার রাত ১০টার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা থানার কুন্দিপুর নিজ বাড়ি থেকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত কিশোর মো. রাসেল ওরফে রাহুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে তার সহযোগী ও বন্ধু সবুজকে কাশিমপুরের বাগবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল ও সবুজ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানায়, তারা শিশুটিকে বিভিন্ন সময় চকলেট ও বিস্কুট কিনে দিত। ঘটনার দিন গত ৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা দুজন মিলে রাসেলের ঘরের মধ্যে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। সে ঘটনাটি তার বাবা-মাকে বলে দেওয়ার কথা বললে তারা তাকে গলা টিপে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ ওই এলাকার নির্মাণাধীন পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের বালুর নিচে চাপা দিয়ে রাখে।
Comment here