মোহনের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে সংসদ সদস্য জহিরুল বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢাকাসমগ্র বাংলা

মোহনের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে সংসদ সদস্য জহিরুল বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদী ৩ আসনের (শিবপুর) সংসদ সদস্য জহিরুল হক মোহন এর বিরুদ্ধে শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খান কর্তৃক কয়েকটি পত্রিকায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের প্রতিবাদে সংসদ সদস্য এর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সহ সভাপতি শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব আজীজুর রহমান খান (ভুলু মাষ্টার) এর সভাপতিত্বে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনের পূর্বে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শহীদদের আত্তার মাগফেরাত কামনা করে ১ মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়।

সম্মেলনে প্রকাশিত সংবাদে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ,জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি জুনায়েদুল হক জুনু,সাবেক উপজেলা আঃ লীগ এর সাধারন সম্পাদক ফরহাদ আলম,কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য শহীদুল আলম,আলমগীর মৃধা আঙ্গুর, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মৃধা, আরমান ভূঞা,ডাঃ আতাউর রহমান,আলহাজ্ব আব্দুল বাতেন বিএসসি,বিএলএফ কমান্ডার আব্দুল হাই মাষ্টার,মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোতালিব খান,শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু বিপ্লব চক্রবর্তী প্রমুখ। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তাগণ বলেন উপজেলা চেয়ারম্যান নিজেই মুক্তিযোদ্ধা নন। তিনি অন লাইনে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের সময় মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন মাত্র।

এছাড়া তিনি অবৈধভাবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটিতে ছিলেন। যিনি মুক্তিযোদ্ধাই নন এবং মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তিনি কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটিতে থাকেন। ১৯৭১ সালের ২৭ ডিসেম্বর ভারত থেকে যেসকল বাংলাদেশী শরনার্থী দেশে ফিরেছেন তাদেরই একজন হারুনুর রশিদ খান। যিনি নিজে একজন শরনার্থী,তিনি কি করে জানেন শিবপুর উপজেলার কে মুক্তিযোদ্ধা আর কে মুক্তিযোদ্ধা নন। জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জহিরুল হক মোহন ভারত থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত বিএলএফ এর থানা কমান্ডার আব্দুল বাতেন বিএসসি এবং ডেপুটি কমান্ডার আবদুল হাই মাস্টার এর তত্ত্বাবধানে উত্তর সাধারচর ট্রেনিং ক্যাম্পে ১৯৭১ সালে আগষ্ট মাসে প্রশিক্ষন গ্রহন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। যার ফলশ্রুতিতে ওনার নাম মুক্তিবার্তা লাল বই এ অর্ন্তভুক্ত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক যাচাই পূর্বক মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রাপ্ত হন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে একটি গেজেট প্রকাশিত হয় যাহা “মুক্তিযোদ্বা গেজেট” হিসেবে পরিচিত,সেই গেজেটেও সাংসদ জহিরুল হক মোহন এর নাম অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। হারুনুর রশিদ নিজে মুক্তিযুদ্বে অংশগ্রহন করে নাই,যার নাম মুক্তিযুদ্বের লাল বইয়ে এবং গেজেটে নেই এমন কি তার নামে মুক্তিযুদ্বা মন্ত্রণালয় থেকে কোন সনদ ইস্যু হয়নি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দুই দুইবার মুক্তিযোদ্বা কমান্ড কাউন্সিল এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কোন নির্বাচনেই হারুনুর রশিদ খান ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হতে পারেননি এবং ভোট দিতে পারেন নাই। যার মুক্তিযুদ্বের সাথে কোন সম্পৃক্ততা ছিল না তিনি কিভাবে একজন মুক্তিযোদ্বার বিরুদ্ধে এরকম মন্তব্য করেন তা আজকে শিবপুরবাসী জানতে চায়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তাগণ হারুনুর রশিদ খান এর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের তার ষড়যন্ত্র,অত্যাচার,নিপীড়ন ও স্বেচ্ছাচারিতা থেকে শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগকে রক্ষা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট হারুনুর রশীদ খান এর বহিস্কার দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে সাংসদ জহিরুল হক মোহন সম্মেলন স্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

Comment here