পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটসহ ভবিষ্যৎ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১ হাজার মিলিয়ন (১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার বাজেট সাপোর্ট সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোজাফ্‌ফর হোসেনের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ বাজেট সাপোর্ট শিল্প কারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রদান এবং সামাজিক সুরক্ষায় ব্যয় করা হবে। এর পাশাপাশি কোভিড মহামারীজনিত অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী অর্থবছরে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সাপোর্ট হিসেবে গ্রহণের কাজ চলছে। সরকার বাজেট সাপোর্ট হিসেবে যে দেড় বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করছে, টাকার অঙ্কে তা ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের সুপরিকল্পিত আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে বিভিন্ন পরিকল্পনাসহ জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিন, নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকারের করা প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ পর্যন্ত সারা দেশের ৩৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৪০ জন গৃহহীন পুনর্বাসিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। সারা দেশে গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের মানুষের ‘মাথা গোঁজার ঠাই নাই’ এ কথাটি চিরতরে বিলুপ্ত করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর।

আরেক প্রশ্নের জবাবে দেশে খাদ্য উৎপাদনের তথ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে উৎপাদন বেড়ে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ধান ও সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, আম ও আলু উৎপাদনে ৭ম, চা উৎপাদনে ৪র্থ, ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে প্রথম।

অপর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের ৪৩টি জেলা রেল যোগাযোগের আওতায় রয়েছে। রেলওয়ের যেসব প্রকল্প চলমান, তা বাস্তবায়িত হলে আরও ১৯টি জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। আর ৩০ বছরব্যাপী মাস্টার প্লান সম্পন্ন হয়ে বাকি চারটি জেলাও রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।

 

Comment here