প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অষ্টমীর স্নান

নিজস্ব প্রতিবেদক : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাপ মোচনের জন্য ঐতিহাসিক ধর্মীয় উৎসব ‘অষ্টমীর স্নান’। করোনাভাইরাস সতর্কতায় জনসমাগম রোধে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন থেকে এই উৎসব স্থগিত করা হলেও মানছেন না সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বুধবার ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার পূণ্যার্থী ব্রহ্মপূত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে ছোট ছোট দলে অষ্টমীর পাপমোচন স্নান উৎসবে মেতে ওঠেন।

এ নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন আলোচনা করে যৌথ উদ্যোগে স্নান উৎসব বাতিল করলেও কেউ কেউ তা মানছেন না। দল বেঁধে পরিবারের লোকজন পাপমোচনে পূণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়াও স্নান উপলক্ষে বসে ছোট খাট মেলা। পুরো ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে পূণ্যার্থীরা মূল পয়েন্ট চিলমারী নৌবন্দরে স্নান করতে না গিয়ে ব্রহ্মপূত্র নদকে ঘিরে চিলমারী উপজেলার ফকিরেরহাট, পুটিমারী, জোড়গাছসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বেষ্টনি ফাঁকি দিয়ে ছোট ছোট দলে অষ্টমীর স্নানে অংশ নেয়।

প্রতিবছর অষ্টমীর স্নানে ৪-৫ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মানুষ অংশ নেয়। তবে এই বছর করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও জনসমাগম রোধে চিলমারী উপজেলা প্রশাসন এই স্নান উৎসব বাতিল করায় লোক সমাগম কম হয়েছে।

চিলমারী সদরের এলএসডি মোড়ের সৌরভ রায়, সবুজ পাড়া এলাকার সঞ্জয় কুমার সরকার ও উজ্বল কুমার জানান, মহামারি করোনা ঠেকাতে দেশে যখন সকল মানুষকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করতে বলা হচ্ছে। তখন কিছু মানুষ সেই নির্দেশনা মানছে না। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ জানান, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশের সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় সমবেত হওয়া মানুষদেরকে সরিয়ে দিয়েছি। এখন বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান করছে।