প্রশ্ন ফাঁস করলে ১০ বছরের জেল - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

প্রশ্ন ফাঁস করলে ১০ বছরের জেল

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) পরিচালিত কোনো পরীক্ষায় ভুয়া পরিচয়ে অংশ নিলে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন হচ্ছে।

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন অধ্যাদেশ ১৯৭৭ রহিত করে নতুন আইন প্রণয়নে আজ সোমবার সংসদে এ সংক্রান্ত বিল তোলা হয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলটি উত্থাপনের পর আপত্তি তোলেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তিনি সব ধরনের চাকরি, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে দাবি করে বলেন, দক্ষ জনবল নিয়োগর বিকল্প নেই। কিন্তু সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্য-উপযুক্ত বিবেচিত হওয়ার পর পুলিশি যাচাইয়ের নামে ভিন্নমতের প্রার্থীদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটি প্রতিকারের বিষয়ে আইনে কিছু নেই। তিনি পরীক্ষা সংক্রান্ত অপরাধের জন্য আলাদা আইন না করে অভিন্ন একটি আইন করার দাবি জানান। তিনি বলেন, মেডিকেল, এসএসসি, এইচএসসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে।

হারুনের বক্তব্যের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, অতীতে প্রশ্ন ফাঁস নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা ছিল। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালে বেশি ছিল। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘটলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে কণ্ঠভোটে হারুনের আপত্তি নাকচ হয়ে যায়।

বিলে বলা হয়েছে, কমিশন প্রজাতন্ত্রের জনবল নিয়োগের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান সাপেক্ষে পরীক্ষা গ্রহণের পদ্ধতি ও শর্তাবলি নির্ধারণ করতে পারবে। বিদ্যমান আইনে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বা প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো সাজার বিধান ছিল না। নতুন আইনে সেটি যুক্ত করা হয়েছে।

কোনো ব্যক্তি পরীক্ষার্থী না হয়েও নিজেকে পরীক্ষার্থী হিসেবে হাজির করলে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে পরীক্ষার সময় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করলে বা অন্য কোনো ব্যক্তির নামে বা কোনো কল্পিত নামে পরীক্ষায় অংশ নিলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর শাস্তি সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে পরীক্ষার জন্য প্রণীত কোনো প্রশ্ন লেখা বা ছাপানো কাগজ বা তথ্য, পরীক্ষার জন্য প্রণীত হয়েছে বলে মিথ্যা ধারণা তৈরি করে এমন কোনো প্রশ্ন লেখা কাগজ বা তথ্য, অথবা পরীক্ষার জন্য প্রণীত প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে বলে বিবেচিত হয় এমন প্রশ্ন লেখা কাগজ বা তথ্য যেকোনো উপায়ে ফাঁস, প্রকাশ বা বিতরণ দণ্ডণীয় অপরাধ। এর শাস্তি সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। এই অপরাধ আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য হবে।

 

Comment here