দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় প্রেমিকের চাচাদের মারধর ও অপমান সহ্য করতে না পেরে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার ভোরে উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামে বিষপানের পর আজ রোববার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রী মারা যায়।
নিহত স্কুলছাত্রীর নাম ফারজানা আক্তার (১৬)। সে এলাহাবাদ গ্রামের মো. ইউনুছ মিয়ার মেয়ে এবং এলাহাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
ওই ছাত্রীর প্রেমিকের নাম মো. তন্ময় (১৭)। সে একই এলাকার মো. সফিকুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় প্রেমিক তন্ময়ের মা মোসা. লতা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, একই গ্রামের স্কুলছাত্রী ফারজানার সঙ্গে তন্ময়ের দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি এ সম্পর্কের কথা তন্ময়ের বাবা-মা ও চাচারা জানতে পারেন। এর জেরে শনিবার সকালে ফারজানাকে তন্ময়দের বাড়িতে ডেকে আনেন তার চাচা নুরুল ইসলাম। সেখানে আগে থেকেই কামাল হোসেন ও মফিজুল ইসলাম নামে তন্ময়ের আরও দুই চাচা উপস্থিত ছিলেন। তন্ময়ের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে নুরুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে ফারজানাকে চড়-থাপ্পর মারতে থাকেন। এ সময় তন্ময়ের অন্য চাচারাও তাকে গালিগালাজ ও অপমান করেন। পরে বাড়িতে এসে এ অপমানে ফাজানা বিষপান করে।
ফারজানার বড় ভাই মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘আমার বোন মারধর ও অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে। প্রথমে তাকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয় পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ফারজানা মারা যায়।’
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার বলেন, ‘নিহত স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আজ রোববার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comment here