ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলেনি, ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় সিইসি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢাকাসমগ্র বাংলা

ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলেনি, ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলায় বিড়ম্বনায় পড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) দেখিয়ে তিনি নিজের ভোট দেন।

আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে উত্তরার আই ই এস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দেন সিইসি। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোটার।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ফিঙ্গার প্রিন্ট ৮-৯ বছর আগের। ঘামে ভেজা থাকায় হয়তো মেলেনি, পরে এনআইডি দিয়ে ভোট দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই এই সমস্যায় পড়তে পারেন। তবে ভোট না দিয়ে কেউ যাবেন না। আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা আছে। বিকল্প ব্যবস্থায় ভোট দেওয়া যাবে।’

নূরুল হুদা বলেন, ‘ইসির দায়িত্ব নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা, আর কেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব প্রার্থীদের।’

এজেন্টদের কেন্দ্রে টিকে থাকতে হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘যদি কেউ বাধা প্রদান করে তাহলে তাদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গিয়ে অভিযোগ করতে হবে। এ অভিযোগেও যদি সমাধান না হয়, তাহলে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর শরণাপন্ন হতে হবে। সেটা না করে বাইরে গিয়ে অভিযোগ করবেন, এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে, সেই অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এজেন্টদের ধৈর্য ধরতে হবে। তারা নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ করবেন। এসব না করে বের হয়ে অভিযোগ করলেও কোনো লাভ হবে না।’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটারদের ইতিবাচক সাড়া মিলছে জানিয়ে নূরুল হুদা বলেন, ‘ইভিএমে ভোট দিতে পেরে ভোটাররা খুশি। ভোটের পরিবেশ খুব শান্ত। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। আমরা ভোটের সার্বিক পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট।’

ভোটাদের উপস্থিতি এখন পর্যন্ত কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়লে ভোটাদের উপস্থিতিও আরও বাড়বে বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

এর আগে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের শনিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার প্রথমবারের মতো বিভক্ত ঢাকার দুই সিটিতে একযোগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। আর এটিই ইভিএমে সবচেয়ে বড় নির্বাচন।

ঢাকার দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্র ও ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে।

Comment here