বিএনপির মনোনয়ন চান ৯ জন - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

বিএনপির মনোনয়ন চান ৯ জন

প্রদীপ মোহন্ত,বগুড়া : বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) শূন্য আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখানে নৌকা নিয়ে লড়বেন সাহাদারা মান্নান। প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বিএনপি গত সোমবার বিকেল থেকে দলীয় ফরম বিক্রি শুরু করেছে। বুধবার ছিল ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন। এ পর্যন্ত নয় জন মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরম পূরণ করে দাখিল করেছেন। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে।

এ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করে জমা দিয়েছেন মোট ৯ জন। তাঁরা হলেন বগুড়া বিএমএর সাবেক সভাপতি ও ড্যাবের আহ্বায়ক ডা. শাহ মো. শাহজাহান আলী, সোনাতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির, সারিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ কাজী রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই কাজী এরফানুর রহমান রেন্টু, জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন চৌধুরী, সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাসুদুর রহমান হিরু মণ্ডল, জেলা বিএনপির সদস্য শহিদুল নবী সালাম, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক বেলাল হোসেন, ড. শামছুল আলম, এএসএম রফিকুল ইসলাম বিশ্বাস।

তবে গত সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ কাজী রফিকুল ইসলাম মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেননি। তিনি নির্বাচন থেকে অনেকটা দূরে সরে আছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন অনেকেই। এ আসনে কাজী রফিকুল ইসলাম ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। দলে সংস্কারপন্থিদের পক্ষ নেওয়ায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে তার বদলে জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ও বগুড়ার আলোচিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শোকরানাকে দলীয় প্রার্থী করা হয়। ওই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আবদুল মান্নানের কাছে প্রায় সাত হাজার ভোটে পরাজিত হন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে শোকরানা মনোনয়ন চাইলেও কাজী রফিকুল ইসলামকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি আবদুল মান্নানে কাছে পরাজিত হন।

এবারের উপনির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির বলেন, ছাত্রদল দিয়ে রাজনীতি শুরু। এখন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তিনি অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৫৮টি মামলার আসামি হয়ে আদালত ও কারাগারে যাতায়াত করছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৬৮টি মামলা মোকাবিলা করছেন। দলে ত্যাগ, অবদান, সাংগঠনিক অবস্থান বিবেচনায় ধানের শীষের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।

আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী মোশারফ হোসেন চৌধুরী বলেন, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনার খরচ জোগানোসহ নানাভাবে তিনি পাশে রয়েছেন। ত্যাগ ও শ্রমের মূল্যায়ন করে দল তাকেই মনোনয়ন দেবে বলে আশাবাদী তিনিও।

অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী শাহ মো. শাহজাহান আলী বলেন, বগুড়ায় বিএমএ, ড্যাব, জিয়া পরিষদ, জেলা বিএনপির নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ, অ্যাজমা সেন্টারসহ বহু প্রতিষ্ঠান গড়ায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি। তাই মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বগুড়া-৬ আসনের সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, বিএনপিতে মনোনয়ন পাওয়ার মতো অনেক যোগ্য নেতা রয়েছেন। তবে সব নেতার দলীয় মূল্যায়ন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে রয়েছে। তিনি যাকে যোগ্য মনে করবেন, তিনি ধানের শীষের প্রার্থী হবেন।

বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ২৯ মার্চ। আওয়ামী লীগ সাংসদ আবদুল মান্নানের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

Comment here