‘ব্যর্থ’ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা উচিত : বাংলাদেশ ন্যাপ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

‘ব্যর্থ’ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা উচিত : বাংলাদেশ ন্যাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক : চীনের করোনার ভয়াবহতার পর সময় পেয়েও আমাদের দুর্নীতিগ্রস্থ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মূল যোদ্ধা চিকিৎসক ও তাদের সহকর্মীদের সময়মতো পিপিই দিতে পারেনি মন্ত্রণালয়। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় আইসিইউ বেড, ভেন্টিলেশন মজুদ ও সরবরাহ করে সমন্বিত পরিকল্পিত শক্তিশালী চিকিৎসা ব্যবস্তা গড়তে ব্যর্থ বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ (ন্যাপ)।

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ মন্তব্য করেছেন।

তারা বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আর মন্ত্রণালয়ের কর্তারা শুধু বড় বড় কথাই বলেছেন। তাদের ব্যর্থতার কারণেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দীন শহীদ হয়েছেন। সুনামগঞ্জের সন্তান এ চিকিৎসক করোনার যুদ্ধে প্রথম সারির যোদ্ধা। সিলেটে করোনায় আক্রান্ত হলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পারছিলেন না। একটা ভেন্টিলেশন পাননি। ঢাকায় আসতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দূরে থাক আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের জন্য কত আকুতি করেও পায়নি। বুধবার ভোরে ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস। ১২ ও ৭ বছরের দুটি সন্তান এতিম হলো। স্ত্রী রিফাত অকালে বিধবা, সেও ডাক্তার। বড় অমায়িক, রোগির প্রতি যত্নশীল ডা. মঈন গরিবের ফি নিতেন না। দেশ তার মদো একজন মেধাবী ও জনদরদী সন্তানকে হারালো।

নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা শহীদ মঈনের শোক গাঁথা হৃদয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। যদিও নির্লজ্জ মন্ত্রী পদত্যা করবেন বলে দেশবাসী আশা করে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরখাস্ত চাই। মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালকেরও অপসারণ চাই। এই ব্যর্থতার দায় তাদের নিতেই হবে। সবকিছু যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া না হয় তাহলে আর এদের রেখে লাভ কি? তাই এই অপদার্থদের বরখাস্ত চাই।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, নাটোরের লালপুরে উপোস পরিবার ও প্রতিবেশীর জন্য ত্রাণ চাইতে সরকারি হটলাইনে ফোন করেছিলেন শহিদুল ইসলাম। এত বড় অপরাধে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মেরে রক্ত ঝরিয়েছেন শরীরের। এমন মহাদুঃসময় না এলে তথাকথিত জনপ্রতিনিধিরা কতটা নিষ্ঠুর ও কত নির্দয় হয় তা জানাও যেত না।

নেতৃদ্বয় বলেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যদি একজন চিকিৎসক বিনা চিকিৎসায় মারা যায় তাহলে সাধারণ মানুষের ভাগ্য কি হতে পারে সেটাই আজ প্রশ্ন? স্বাস্থ্য বিভাগের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেগে পরেছে ডা. মঈন উদ্দিনের মত্যুই তার জলন্ত প্রমাণ।

তারা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামনের কাতারের যোদ্ধা ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত, প্রণোদনা, ঝুঁকি বীমা, এককালীন সম্মানী ঘোষণার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

Comment here