ভারতে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ায় জরুরি অবস্থা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
আন্তর্জাতিক

ভারতে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ায় জরুরি অবস্থা

ভারতে হঠাৎ করে বার্ড ফ্লু এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে (এইচ৫এন৮) বিভিন্ন প্রদেশে লাখ লাখ পোলট্রি মুরগি মারা যাওয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এ ফ্লু গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় অঞ্চলগুলোয় মহামারী আকারে দেখা দেয়। এ অবস্থায় বাংলাদেশের পোলট্রি খামারিদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর নির্দেশনা দিয়েছে।

গত সোমবার ভারতের মধ্য প্রদেশে বার্ড ফ্লুর প্রকোপ দেখা দেয়। এর পরপরই শুধু হরিয়ানায় ৪ লাখের বেশি পোলট্রি মুরগি মারা যায়। এর জেরে কেরালা, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুতে সতর্কতা জারি করে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যেই গতকাল পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ডসহ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতেও ফ্লুয়ের প্রকোপ দেখা দেয়। অতিথি বা পরিযায়ী পাখির মাধ্যমে এ ফ্লু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন পরিযায়ী পাখি ও কবুতর এ রোগ বেশি বহন করছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় প্রাণিজ আমিষের ৪০ শতাংশ আসে পশুপাখি থেকে। পশুপাখি থেকে আসা মোট প্রাণিজ আমিষের এক- তৃতীয়াংশই আসে পোলট্রি থেকে। বর্তমানে পোলট্রির সংখ্যা প্রায় ৩১ কোটি। এর ৬০ শতাংশই নিবিড় ও আধা-নিবিড় পদ্ধতিতে প্রতিপালিত খামারের পোলট্রি।

বর্তমানে ৪০ হাজার কোটি টাকার পোলট্রির বাজার গড়ে উঠলেও করোনার কারণে এ খাত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এখন এই ফ্লু যেন দেশের খামারিদের আরেকটি মহামারীতে না ফেলে এ জন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরটির পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ আজিজুর রহমান বলেন, খামারিদের এখনই বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যেসব পাখি খামারের বাইরে যায় তাদের আলাদাভাবে রাখা যেতে পারে। পরিযায়ী পাখির মাধ্যমে এলে এটা (ফ্লু) রোধ করার উপায় নেই। তবে যত দ্রুত সম্ভব তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই ফ্লুর অনেকটা কম সংক্রমণের আশা করছেন তারা। পরিযায়ী পাখির আবাসস্থলে মূলত পোলট্রি হাঁসের চাষ বেশি হয়। আর হাঁসের এ ধরনের রোগ প্রতিরোধ করার সক্ষমতা বেশি বলে তা দ্রুত ছড়ানোর আশঙ্কাও কম। তবে মুরগি এ রোগে বেশি নাজুক অবস্থানে রয়েছে। ফলে এখন মুরগির খামারগুলোতে আলাদাভাবে সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন।

Comment here