মরতে হলেও মরব, তবুও মাঠ ছাড়ব না: ওবায়দুল কাদের - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

মরতে হলেও মরব, তবুও মাঠ ছাড়ব না: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি নিজেদের ক্ষুধার আগুন নেভাতে মরণ কামড় দেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেবের সব খেলা ধরে ফেলি। কী করবে, টেমস নদীর পাড় থেকে ধমক খায়। মাঝে মাঝে তাকে নার্ভাস দেখা যায়। বিএনপি দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে। যে কারণে নিজেদের ক্ষুধার আগুন নেভাতে মরণ কামড় দেবে। আমরা মরতে হলেও মরব তবুও মাঠ ছাড়ব না। এটা বাংলাদেশের আরেক মুক্তিযুদ্ধ। এটাতে জিততে পারবো যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি।’

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আপনারা সাংবাদিকরা তো বাইরের কেউ না, দেশেরই মানুষ, আপনারা দেখবেন।’

সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত অনুকূল পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের এ বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত বক্তব্য নিয়ে গোটা নির্বাচন নিয়ে চিন্তার সুযোগ নেই। একটা বিষয়ে একেকজন একেক ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করতে পারেন। নির্বাচন হবে না, বা নির্বাচন নিয়ে তাদের ভিন্ন চিন্তা আছে, এমন তো বলেননি। অতএব, এই বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত বক্তব্য নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করা ঠিক হবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কোনো চাপে নেই, তবে পুরনো দিনের কথা ভুলতে পারি না। ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসংযোগের কথা ভুলতে পারি না। তারা (বিএনপি) তো আগুন ছাড়া কথা বলে না। তারা শান্তি মন থেকে চায় কি না, এটা দেখতে হবে।’

২৮ অক্টোবরের সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে দেখিয়ে দেবো যে, আমরা শান্তির পক্ষে। সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। এদের দুরভিসন্ধি আছে, সাম্প্রদায়িক আরও দু-একটা শক্তি নিয়ে তারা অপকর্ম করতে চাইবে।’

বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির কর্মী হত্যা মামলায় খোকন গ্রেপ্তার। অথচ অভিযোগ করছে, রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার। তাহলে কি আপনাদের কর্মী হত্যার বিচার হবে না? এ ক্ষেত্রে সরকার তো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও ছাড় দেয়নি। আপনি তো টেনেটুনে ২২ জনের নাম বলেছেন। আর আপনারা আমাদের ২২ হাজার নেতাকর্মীর ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছেন। আমরা এসব ভুলিনি।’

ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, ‘পুলিশ আমাদের মঞ্চ করতে দেয় নাই। মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন। বলেছেন- সরকার না কি আমাদের অনুমতি দিছে, মঞ্চ করছি। আমরা কিছুটা করেছিলাম, পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ যখন অনুমতি দেবে, আমরা তখনই মঞ্চ করবো।’

ক্ষমতাসীন দলের এ নেতা বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় তাদের সারাদেশের লোক আর আমাদের থানার লোকদের নিয়ে সমাবেশকে তুলনা করা হয়। যোগ-বিয়োগ আর তুলনা করতে মাথায় থাকতে হবে এটি, আমাদের এলাকার সমাবেশ। তাদের পুরো দেশের।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেঁচে থাকতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে দেবো না। এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। বাংলাদেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবো না।’

নির্বাচন নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা অশান্তি করতে চাই না, কারণ আমরা ক্ষমতায়। আমাদের দ্বারা অশান্তি হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। অশান্তি তারা চায়, যারা পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। এদের মতলব সম্পর্কে সতর্কতা অত্যন্ত প্রয়োজন। আইআরআই একটা সমীক্ষা করেছে, সেই সমীক্ষায় ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থা রাখে।’

Comment here