মোখার তাণ্ডবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

মোখার তাণ্ডবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দুই এলাকায় বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী মো. কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান।

আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে প্রচণ্ড গতির বাতাস নিয়ে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সেন্টমার্টিন, টেকনাফ সদর, পৌর এলাকা, সাবরাং, ডেইলপাড়া, জাদিমুড়া এলাকায় প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়ে আছে। উড়ে গেছে ঘরের চালা। বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় লোকজনকে সড়কে পড়ে থাকা গাছ সরাতে দেখা গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপের মাঝরপাড়া, কোনারপাড়া, গলাচিপা, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়ার অন্তত ৩৪০টি ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। কয়েক শ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে উত্তরপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও পূর্বদিকের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। তিনটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৩৭টির বেশি হোটেল রিসোর্ট ও কটেজে অবস্থান করছেন স্থানীয় প্রায় ৬ হাজার মানুষ। বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

টেকনাফের ইউএনও মো. কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঝড়ের কারণে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু এলাকায় গাছ ও ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। দুই এলাকায় বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার সংবাদ পেয়েছি।’

সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনের অনেক ঘরবাড়ি উড়ে নিয়ে গেছে। কয়েকজন আহত হওয়ার খবর শুনেছি।

বিকেল ৪টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেন্টমার্টিনে দুপুর ১টার দিকে ১০০ কিলোমিটার বেগে, ২টার দিকে ১২১ কিলোমিটার বেগে, ২টা ২০ মিনিটের দিকে ১৫১ কিলোমিটার বেগে এবং ২টা ৩০ মিনিটে ১৪৭ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে।

এদিকে বেলা ১টা থেকেই ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব বাড়তে শুরু করে টেকনাফের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ছে পুরা টেকনাফ উপজেলায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তাকে ঘূর্ণিঝড় বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। গতিবেগ যদি ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। আর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হয়, তখন সেটিকে হ্যারিকেন গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বা ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়।

Comment here