বিগত সময়গুলোতে দেখা যায় রমজান মাস আসলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিসের কতৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বাসের ট্রিপের সংখ্যা কমিয়ে দিতো। এবারের রমজানেও বাস ট্রিপ কমানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছিলো কতৃপক্ষ। ঠিক সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মোঃ শামস-ঈ-নোমান এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন।
তিনি কতৃপক্ষের সাথে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক করে বাসের ট্রিপ না কমানোর বিষয়ে কতৃপক্ষকে রাজি করাতে সমর্থ হন। এ বিষয়ে মোঃ শামস-ঈ-নোমান বলেন – “বরাবরের মত এবারের রমজানেও কতৃপক্ষ বাসের ট্রিপের সংখ্যা কমাতে চাচ্ছিলো। কিন্তু আমি বলেছি যে, অন্যান্য কর্মদিবসের মত রমজান মাসের কর্মদিবসেও যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা সহ সকল স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে সেহেতু শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির দিন ব্যতীত শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বরাদ্দকৃত বাসের একটি ট্রিপও কমানো যাবে না। তবে শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী তাদের মতামতের ভিত্তিতে বাসের ট্রিপের সময়সূচীর কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
” এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। ক্ষণিকা বাসরুটের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, ” ছাত্রপরিবহন সম্পাদক নোমান ভাইয়ের কল্যাণেই আমরা রমজানেও সব কয়টি ট্রিপ পেলাম। এমন ছাত্র পরিবহন সম্পাদকইতো আমরা চেয়েছিলাম”। বসন্ত বাসরুটের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ নিলয় বলেন- ” ধন্যবাদ আমাদের ডাকসুর ছাত্র পরিবহন সম্পাদক শামস-ঈ-নোমান ভাইকে। ভাইয়ের হস্তক্ষেপের ফলে আমরা সব ট্রিপ পেয়েছি।” তাছাড়া ঈশা খাঁ বাসরুটের সভাপতি অলিউজ্জামান অনিক, উল্লাস বাসরুটের সাধারণ সম্পাদক সজল মজুমদার, বৈশাখী বাসরুটের সভাপতি চৌধুরী শামীম আফফান, ফাল্গুনী বাসরুটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম, কিঞ্চিৎ বাসরুটের সভাপতি মোঃআব্দুল্লাহ আল মুবাস্সির, চৈতালী বাসরুটের সভাপতি মুহাম্মদ আজগর হাওলাদার শামস-ঈ-নোমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শামস-ঈ-নোমানের হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয় ঈদের ছুটি হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী ১৬ তারিখ পর্যন্ত সকল বাসরুটের ট্রিপ সংখ্যা অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের সমান থাকবে। ১৬ তারিখের পর বাস বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির শিডিউল অনুযায়ী চলবে।
Comment here