রাঙামাটিতে ছুটিতে গিয়ে গুলিতে নিহত দেহরক্ষী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

রাঙামাটিতে ছুটিতে গিয়ে গুলিতে নিহত দেহরক্ষী

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বাড়িতে ছুটি কাটাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে প্রাণ গেল এক দেহরক্ষীর। আজ রোববার ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম রতন প্রিয় দেওয়ান প্রকাশ ধীমান চাকমা। তিনি নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিলেন। বাঘাইছড়ি থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, নিহত রতন চাকমা নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমার দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ছুটিতে বাড়িতে যান। এক বছর আগে তিনি সন্তু লারমার জেএসএস থেকে পদত্যাগ করে জেএসএস এমএন লারমা দলে যোগ দেন। এই কারণেই এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। তিনি গতকাল রাতেও বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় এক দল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

এ অভিযোগের বিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা জেএসএস সন্তু লারমা দলের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদীপ চাকমা ওরফে দীপ বাবু জানান, তাদের দলে কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নাই। দলীয় কোন্দলের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে।

জেএসএস এমএনলারমার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা অভিযোগ করে বলেন, ভোর রাতে রূপকারী ইউনিয়নের পাকুজ্জ্যাছড়ি নামক এলাকায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন এক দল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনায় সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তিনি।

বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রিয় দেওয়ানের লাশ উদ্ধার করেছি। নিহত ব্যক্তি জেএসএস এমএন লারমা দলের সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।’

উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের ৩ মে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় খুব কাছ থেকে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানও নিরাপত্তার কারণে বাসায় থেকে সকল দাপ্তরিক কাজ করে থাকেন।

 

Comment here