রাঙামাটি নৌযান শ্রমিকদের দুর্বিসহ জীবন কাটছে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

রাঙামাটি নৌযান শ্রমিকদের দুর্বিসহ জীবন কাটছে

আব্বাস উদ্দিন, রাঙামাটি : করোনার কারণে রাঙামাটি নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের ৩০০সদস্য প্রায় বেকার হয়ে আছে। গত মার্চ মাসের ২৫ তারিখ থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় তারা এখন দুর্বিসহ জীবন পার করছে। তাদের পুরো শ্রমিক ইউনিয়নের জন্য রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একবার একটন চালের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো।

তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বেশির ভাগ শ্রমিক জেলার বাইরে থেকে এসে কাজ করে। শ্রমিক এবং লঞ্চ মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাঙামাটি জেলা শহরের সাথে ৬টি উপজেলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো নৌ-পথ। এর মধ্যে নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, লংগদু এবং বাঘাইছড়ি উল্লেখযোগ্য উপজেলা। এই রুটগুলোতে প্রায় ৫৩টি লঞ্চ চলাচল করে। প্রতিটি লঞ্চে চালক, সারেং এবং মিস্ত্রীসহ ৫-৬জন শ্রমিক নিয়োজিত থাকে।

টাকা মালিক পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়ে থাকে। বর্তমানে দেড় মাস লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় মালিক পক্ষ তাদের বেতন দিতে পারিনি। দেড়মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় তারাও কষ্টে পড়েছে। বেতন না পাওয়ায় বাইরের শ্রমিকরা নিজেদের বাড়ি-ঘরে যেতে পারছেন না।

স্থানীয় শ্রমিকরা বাড়িতে বেকার থেকে কোনরকমে দিন অতিবাহিত করছে। রাঙামাটি নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দে বলেন,
আমাদের সমিতি থাকলেও নেই কোন টাকা। রাঙামাটি নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল হক বলেন, আমার শ্রমিকরা অনেক কষ্টে দিন পার
করছে।

একবেলায় চূলায় আগুন জ্বললেও আরেক বেলায় উপাস থাকতে হচ্ছে। সরকারি প্রণোদনা না পেলে আমাদের টিকে থাকা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে  দাঁড়াবে। তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা রাঙামাটি অঞ্চলের চেয়ারম্যান মঈনুদ্দীন সেলিম  বলেন, আমাদের লঞ্চগুলো দেড়মাস ধরে চলাচল বন্ধ থাকায় আমাদের নিজেদের অবস্থা খুব খারাপ। অনেকে ব্যাংকের ঋণ নিয়ে লঞ্চগুলো চালাচ্ছে।

এখন  ঋণের চাপ ঘাড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, মালিক সমিতির পক্ষ থেকে শ্রমিকদের কয়েকবার ত্রাণ দিয়ে সহযাগিতা করেছিলাম।

Comment here