রাজধানীতে এক মাস্কের দাম ১৭৫০ টাকা! - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

রাজধানীতে এক মাস্কের দাম ১৭৫০ টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : চীনে করোনাভাইরাসের খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলাদেশেও। যে কারণে বেড়ে গেছে মাস্কের দাম। খোদ রাজধানীতেই এখন বিভিন্ন স্থানে, যানবাহনে কিংবা রাস্তায় যাতায়াত করছেন, তাদের মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া গেলেও ১৭৫০ টাকায় একটি মাস্কের দাম শুনে অবাক হবে না, এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দুস্কর।

রাস্তায়, ফুটপাতে, বিভিন্ন অনলাইন শপে মাস্ক বিক্রি হলেও সংকট দেখা দিয়েছে ফার্মেসিগুলোতে। এ কারণে একটি সিন্ডিকেট মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে কয়েকটি ফার্মেসিতে মাস্কের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া গেলেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। সাধারণত চীন বা জাপান থেকে বাংলাদেশে মাস্ক আসে। তবে বেশ কয়েকটি অনলাইন শপ চীন থেকে শাওমি ব্র্যান্ডের কিছু মাস্ক নিয়ে আসছে, যা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ১৭৫০ টাকায়।

ফার্মেসিতে ১০ টাকা থেকে তুলনামূলক উন্নত (ডিস্পোজেবল নন ওভেন ফ্যাব্রিক) মাস্কের দাম ২৫ টাকা। কটন মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, স্পঞ্জ অ্যান্টি ডাস্ট মাস্ক ৫০ টাকায় কিনছেন ক্রেতারা।

তবে এন-৯৫ (৮২১০) মাস্ক ২৫০ টাকা, এন-৯৫ (৮১১০এস) ১৮০ টাকা, পিএম-২.৫ মাউথ মাস্ক ১২০ টাকা কিনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। চীন থেকে শাওমি ব্র্যান্ডের যে মাস্ক আনা হচ্ছে, সেগুলোর দাম যথাক্রমে এয়ারপপ থ্রি-সিক্সটি ডিগ্রি অ্যান্টি ফগ মাস্ক ৩৫০ টাকা, স্মার্টলি ফিল্টার মাস্ক ৪৫০ টাকা, সাওমি পিএম-২.৫ লাইট ওয়েট মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১৭৫০ টাকয়।

বিভিন্ন অনলাইন শপের স্বত্বাধিকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে বা ফুটপাতে যে মাস্কগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো উন্নত নয়। এ ছাড়া ফার্মেসিতে যে মাস্কগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর চেয়ে স্টাইলিশ ও বাতাস ফিল্টারে কার্যকরী শাওমির মাস্কগুলো। গ্রাহকদের কাছে এগুলোর চাহিদাও বেশি।

ক্রেতাদের জন্য যে দাম অনলাইন শপগুলো নির্ধারণ করছে, তার অনেকটাই সুযোগের সদব্যবহার। কারণ, শাওমি ব্র্যান্ডের মুল সাইট থেকে কিনলে মাস্কগুলোর যে দাম নিরুপণ হয়, দেশে বিক্রি হওয়া মাস্কগুলো তার তিনগুণ বা চারগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

Comment here