রাজধানীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, বিএনপির ২০ নেতাকর্মী রিমান্ডে

বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকালে রাজধানীর সিটি কলেজ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার দুটি মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতাকর্মীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৩৭ নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করে ধানমন্ডি ও নিউমার্কেট থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে ধানমন্ডি থানার একটি মামলায় ২৭ জন এবং নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় ১০ জন।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ ২৭ জনের মধ্যে ১২ জনকে তিন দিন এবং নিউমার্কেট থানা পুলিশ ১০ জনেরই পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।

আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ প্রমুখ রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাদের জামিনের আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ধানমন্ডি থানার মামলায় ১২ জনের এক দিন এবং নিউমার্কেট থানার মামলায় ৮ জনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ ছাড়া বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ১৭ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। রবিউল আলমের রিমান্ড আবেদন ছিল না জানান আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী।

আরও পড়ুন: গয়েশ্বর, এ্যানীসহ বিএনপির ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বিএনপি নেতাকর্মীরা ধানমন্ডির শংকর এলাকায় সমাবেশ করে বেলা ৩টার দিকে পদযাত্রা শুরু করে। এ পদযাত্রা জিগাতলা, সিটি কলেজ হয়ে ল্যাবএইড হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পদযাত্রাটি সিটি কলেজ এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

ওই ঘটনায় নিউমার্কেট থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা দুই মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকশ ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, নিউমার্কেট থানার মামলায় গয়েশ্বর চন্দ্রের পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন (অসীম), প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী (এ্যানি), স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী (শফু), গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক (মিলন), যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু), ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়াকেও আসামির তালিকায় রয়েছেন।