রাজধানীতে পুলিশ-ছাত্রদল সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা মজনু আটক - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

রাজধানীতে পুলিশ-ছাত্রদল সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা মজনু আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর নয়াপল্টন, রূপনগর ও কাফরুলে পুলিশ ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মুহমুদ জুয়েলসহ বেশ কয়েকজন আহত এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রদল নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যেকোন মূহুর্তে পতনের সম্ভাবনা থেকেই মরণকামড় দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আর এ কারণেই রফিকুল আলম মজনুকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, কর্মসূচি থেকে শ্যামপুর থানা বিএনপি নেতা কাজী ইমতিয়াজ আহমেদ টিপু, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম বাশার, মুগদা থানা বিএনপির সদস্য মো. মজিবর, ছাত্রদলের স্টাফ মুন্নাসহ ২০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ ছাড়া পুলিশি হামলায় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল, মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম মামুন, যুগ্ম আহবায়ক আকরাম আহমেদ, তাইফুর রহমান ফুয়াদসহ ১৫ জনের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রায় ৩০/৩৫টি মোটরসাইকেল পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।

এসময় পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে রফিকুল আলম মজনুসহ আটক ও গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ ছাড়া আহত নেতাকর্মীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।

ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল জানান, বিকেল ৪টার দিকে সংগঠনের মহানগর পশ্চিমের রূপনগর থানা ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলন চলছিল। ওই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হিসেবে তিনিও ছিলেন।

জুয়েল আরও জানান, সম্মেলনে পুলিশ ও স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা হামলা করে। এতে তিনিসহ ছাত্রদলের অন্তত ১৫/১৬ জন নেতা-কর্মী আহত হন।

তিনি আরও জানান, এরপর কাফরুলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়। সেখান থেকেও পুলিশ কয়েকজন ছাত্রদল নেতাকর্মীকে আটক করে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বলেন, রাজধানীর রূপনগর থানায় ছাত্রদলের কর্মী সভায় স্থানীয় ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও পুলিশ হামলা করে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নাইটিংগেল মোড়ের কাছে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ বাধা দিলে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকি গুলি ছোঁড়ে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন আটক করে।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন বলেন, ছাত্রদল কর্মীরা আকস্মিক পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় ৮/১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

 

Comment here