লকডাউন শিথিল করা মানে অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি নয় : তথ্যমন্ত্রী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

লকডাউন শিথিল করা মানে অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি নয় : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : জনগণকে যতদূর সম্ভব ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘অদৃশ্য একটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করছি। আমার সুরক্ষা আমার কাছে। এটি নিজে অনুধাবন করতে না পারলে জোর করে সুরক্ষা দেওয়া কঠিন।’

তিনি বলেন, ‘লকডাউন শিথিল করা মানে এই নয় যে, অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করব, অকারণে বের হবো বা জনসমাগম করব।’

আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশে জীবন ও জীবিকা দুটিই রক্ষা করতে হবে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে যেখানে এখনো ডজন ডজন মানুষ প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করছে, সেখানেও অনেক জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। আমার সুরক্ষা যদি আমি না নেই তাহলে কাউকে তো জোর করে নেওয়ানো সম্ভব নয়।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক সব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন, যে কারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা অনেক দেশের মত ভেঙে পড়েনি। পাকিস্তানেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছিল। সেখানে ডাক্তারদের এরেস্ট করতে হয়েছে হাসপাতাল চালু রাখার জন্য। বাংলাদেশে সেরকম পরিস্থিতি হয়নি।’

যেসব ডাক্তার এসময় সেবা দিচ্ছেন, তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ও উন্নত দেশে শনাক্ত রোগীদের মৃত্যুহার তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে অহেতুক সরকারের সমালোচনা করেন। আমাদের ব্যবস্থাপনা যদি ভালো না হতো, তাহলে শনাক্ত রোগীর মৃত্যুর হার অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশেও বেশি হতো।’

‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার ফলেই ১৭ কোটি মানুষের এই উন্নয়নশীল দেশে দু’মাসের বেশি সময় প্রায় সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ হলেও সরকারের খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তায় এখনো একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি, প্রায় সাত কোটি মানুষ এখন সরকারের সহায়তার আওতায়’, বলেন হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রামে ৪ কোভিড হাসপাতাল ঘোষণা

সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে চট্টগ্রামের ৪ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল ঘোষণার কথা জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সরকার ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়েল হাসপাতাল, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল, এবং ইউএসটিসির বঙ্গবন্ধু হাসপাতাল—এ চারটি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রয়োজন হলে আরও হাসপাতাল অধিগ্রহণ করা হবে। আট সদস্যের কমিটি এ বিষয়ে কাজ করবে। এ ছাড়া শহরে করোনা স্যাম্পল সংগ্রহে আরও ১১টি বুথ স্থাপন করা হবে।’

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন—ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খানম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও সরকারি বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ।

Comment here