সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীঅন্তসত্ত্বা বৃদ্ধ চাচার লালসায় - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রংপুরসমগ্র বাংলা

সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীঅন্তসত্ত্বা বৃদ্ধ চাচার লালসায়

লম্পট বৃদ্ধ চাচার লালসায় অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী লোকলজ্জায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই লম্পট ও তার স্বজনরা ধর্ষিতা এবং তার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। তাদের হুমকির মুখে মামলা দায়ের করতে সাহস পাচ্ছেনা ধর্ষিতার দারিদ্র পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার সীমান্তবর্তী আগরপুর ইউনিয়নের ঠাকুরমল্লিক গ্রামের।

ধর্ষক সামসু বেপারী (৭০) ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর চাচাতো চাচা। স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রী জানান, গত ছয়মাস পূর্বে একই বাড়ির টিউবওয়েলে পানি খেতে গেলে তার কাছে পানি পান করতে চায় চাচা সামসু বেপারী। চাচাকে পানি পান করানোর জন্য ওই ছাত্রী পানি নিয়ে সামসু বেপারীর ঘরে প্রবেশের পর তার মুখে গামছা পেচিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করা হয়। ভূক্তভোগি ওই ছাত্রী আরও জানান, বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে ও তার স্কুল পড়ুয়া বোন এবং মাকে জবাই করে হত্যার হুমকি দেয় ধর্ষক সামসু।

স্কুল ছাত্রীর মা জানান, সম্প্রতি তার মেয়ের প্রচন্ড জ্বর হয়। ওইসময় তার মেয়েকে ঘরের মধ্যে একাকি পেয়ে জ্বরের ওষুধের কথা বলে কৌশলে গর্ভপাত ঘটানোর ওষুধ খাইয়ে দেয় সামসু। ওই ওষুধ সেবনের পর তার মেয়ের প্রচন্ড পেটে ব্যাথা শুরু হয়। গত দুই সপ্তাহ পূর্বে তার মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর পরীক্ষা-নিরিক্ষায় তার মেয়ের পেটে বাচ্চা ধরা পরে। পরবর্তীতে মেয়ের ওপর চাঁপ সৃষ্টির পর সে বিষয়টি তার (মায়ের) কাছে খুলে বলে। গত কয়েকদিন পূর্বে লম্পট সামসু বেপারীর খাওয়ানো ওষুধে অন্তঃস্বত্তা ওই ছাত্রীর পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়।

ধর্ষিতা ওই ছাত্রীর মা আরও জানান, বিষয়টি অভিযুক্ত সামসু বেপারীকে জিজ্ঞেস করা হলে উল্টো তাদের বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তীতে আর্থিক অনটনের কারনে থানায় মামলা দায়ের করতে না পেরে সঠিক বিচার পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সামসু ও তার স্বজনরা তাদের স্ব-পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে।

তিনি (ধর্ষিতার মা) লম্পট সামসু বেপারীকে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে আগরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গ্রাম আদালতের বিচারক এসএম তারিকুল ইসলাম তারেক বলেন, বিষয়টি গ্রাম আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত। তবুও গ্রাম আদালতে অভিযোগ করায় দুইবার অভিযুক্ত সামসু বেপারীকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা হলেও সে গ্রাম আদালতে আসেননি। স্থানীয় আগরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ মহসিন জানান, বিষয়টি তাদের জানা নেই। এমনকি কেউ লিখিত বা মৌখিক অভিযোগও করেননি। তার পরেও বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

Comment here