বিনোদন ডেস্ক : ফেরদৌস, রিয়াজ, পূর্ণিমা, পপি, নিপুণ, ইমনসহ অনেকেই পাশে ছিলেন মৌসুমীর। কিন্তু হঠাৎ তার পাশ থেকে সরে গেলেন সবাই। একা হয়ে পড়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘প্রিয়দর্শিনী’।
২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদি নির্বাচন। উপরে যাদের নাম লেখা হয়েছে তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় ডি এ তায়েবের সঙ্গে জোট বেঁধে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করতে চাচ্ছিলেন মৌসুমী। নিজেকে সভাপতি ও তায়েবকে সম্পাদক করে প্যানেলও আহ্বান করেছিলেন।
১ অক্টোবর ২১ পদে ৩০টি মনোনয়ন ফরমও তুলেছিল প্যানেলটি। এতেই থাকার কথা ছিল ফেরদৌস, রিয়াজ, পূর্ণিমা, পপি, নিপুণ, ইমনসহ আরও কয়েকজন অভিনতো-অভিনেত্রীর। কিন্তু তারা সবাই সটকে পড়েছেন। তাই সভাপতি পদে সতন্ত্র নির্বাচন করছেন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিষিক্ত এই অভিনেত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন মৌসুমী। বিকেল ৩টার দিকে স্বামী ওমর সানীকে সঙ্গে নিয়ে বিএফডিসিতে নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে আসেন তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে মনোনয়ন দিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ডি এ তায়েব এ সময় তার সঙ্গে না থাকলেও জানান গেছে সতন্ত্র নির্বাচন করবেন তিনি।
বিএফডিসিতে নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের মৌসুমী বলেন, ‘প্যানেল করতে পারলাম না। স্বতন্ত্রভাবে সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিলাম। কারণ, আমি এখন একা। যারা আমাকে সভাপতি করে প্যানেল তৈরিতে পরামর্শ, সাহস দিয়েছিলেন, তারা সরে গেছেন। নির্বাচনে আমার সঙ্গে কেউ নেই।’
এ সময় তিনি জানান, বড় চমক দিয়ে প্যানেল তৈরি করলেও গত কয়েক দিন ধরে একটি মহল আড়াল থেকে বাঁধা সৃষ্টি করে আসছিল। তার সঙ্গে যারা ছিলেন তাদের নির্বাচন না করতে প্রভাবিত করেছে ওই মহল। একজন শিল্পী হিসেবে এসব প্রত্যাশা করেননি তিনি।
কারা তাকে সরে যেতে বলছেন এবং কেন প্রশ্ন করা হলে মৌসুমী বলেন, ‘আমি জানি না। এটি কোনো জাতীয় নির্বাচন না। তারপরও বড় বড় জায়গা থেকে বলা হচ্ছে, সরে যাও। ঠিক আছে আমি সরে যাব। কিন্তু অন্যায়ভাবে যেসব শিল্পীর ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। অসহায় শিল্পীদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদের ভাষা হিসেবেই আমি নির্বাচন করছি।’
এ সময় অভিভাবক ও জ্যেষ্ঠ শিল্পীদের কাছে অনুরোধ জানান বাংলা চলচ্চিত্রের প্রিয়দর্শিনী খ্যাত এই অভিনেত্রী। বলেন, ‘নির্বাচনে আমাকে সরে দাঁড়ানো বা প্রতিহত করার জন্য যে অপচেষ্টা চলছে, তা যেন না হয়। একটি প্যানেল করতে দিলে কিছুই ক্ষতি হতো না। আমি আগে থেকেই যেহেতু ঘোষণা দিয়েছি, এ কারণে সরে যাচ্ছি না। তা ছাড়া অনেকেই আমার দেখাদেখি স্বতন্ত্র দাঁড়াচ্ছেন। তাদের কথা, শেষ পর্যন্ত যদি আমিও নির্বাচনে না থাকি, তাহলে চাওয়ার জায়গাটা সব শেষ হয়ে যাবে। তাই আমি নির্বাচন করছি। দেখি কী হয়!’
Comment here