সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানে চলছে চায়ের দোকান - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানে চলছে চায়ের দোকান

রাকিবুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: দেশে চলমান করোনা আতঙ্কের মাঝেই গাইবান্ধার বিভিন্ন গ্রামে চলছে চায়ের দোকান। যেহেতু ভাইরাসটি খুব দ্রুত একজনের শরীর থেকে অন্য আরেক জনের শরীরে প্রবেশ করে তাই সবাইকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা সহ জরুরী প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু এই নির্দেশনার  তোয়াক্কা না করে অনেকেই গ্রামের চায়ের দোকান ,টংঘর সহ বিভিন্ন স্থানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন।
শহরে সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার থাকলেও প্রত‍্যন্ত গ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন তৎপরতা নেই। আর এই সুযোগে চায়ের দোকানে দিন রাত চলে আড্ডা।
সরেজমিনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর, পিয়ারাপুর সহ বিভিন্ন গ্রামের চায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, দোকান ভর্তি মানুষ বসে আড্ডা দিচ্ছে । অনেকেই আবার দোকানের দরজা বন্ধ করে গ্রাহকদের ভেতরে ঢোকাচ্ছে।
চায়ের দোকানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে বসে থাকায় এই স্থানে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেশি। এছাড়া করোনায় দীর্ঘ ছুটি পেয়ে ঢাকা চট্রগ্রাম ও করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে আসা ব‍্যাক্তিদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানছে না কেউই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরিফ খাঁ বাসুদেবপুর গ্রামের এক চায়ের দোকানদার জানান, আমাদের এই দোকানের আয় দিয়ে সংসার চলে দোকান বন্ধ রাখলে খাব কি! সরকার যদি কোন সহযোগিতা করতো তাহলে দোকান বন্ধ রাখতাম।
যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরকারি সহায়তা হিসেবে ১’শ মে. টন চাল ও ৫ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ে উপ-বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রস্তুতের কার্যক্রম করা হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুতের পর প্রত্যেক পরিবারে চাল, ডাল, আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য দিয়ে প্যাকেট প্রস্তুত করে সরবরাহ করা হবে।

Comment here