আদালত প্রতিবেদক : ঘুষ গ্রহণ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় বরখাস্ত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপালের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। এ চার্জগঠনের মধ্য দিয়ে আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। আজ বুধবার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামি ১৮ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এদিন ডিআইজি পার্থকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রার্থণা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ডিআইজ পার্থের কাছে জানতে চান, তিনি দোষী না দির্দোষ। এ সময় ডিআইজি পার্থ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থণা করেন। এরপর আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৮ জুলাই সকাল থেকে পার্থ গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তার গ্রিন রোডের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।
২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে ডিআইজি পার্থের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন। ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ চার্জশিটটি গ্রহণ করে চার্জশুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এ বদলির আদেশ দেন।
ডিআইজি প্রিজন পার্থ কুমার বণিক ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট চট্টগ্রামের ডিআইজি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
Comment here