সুষ্ঠু ভোট করতে ইসিকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত আমলারা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

সুষ্ঠু ভোট করতে ইসিকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত আমলারা

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন আমলারা। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠকে আমলারা এ আশ্বাস দেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, অর্থ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব এবং বিভিন্ন বিভাগের প্রধানসহ ২৯ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘সবাই আগে থেকেই অবগত রয়েছেন নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সংবিধানের যে সময়সীমা আছে, সেই সময়ে আয়োজনে বদ্ধ পরিকর। তাই এই নির্বাচনের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত বিভিন্ন দপ্তর, বিভাগ ও মন্ত্রণালয়; এদের প্রধানদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে আমরা সভা করছি।’

ইসি সচিব বলেন, ‘গত পরশুদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে মিটিং করেছি। আজকে সিভিল জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব, মহাপরিচালক, দপ্তর প্রধান ও প্রধান প্রকৌশলীদের সঙ্গে সভা করেছি।’

জাহাংগীর আলম বলেন, ‘বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করা। এ জন্য স্ব স্ব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের যা কিছু করণীয় রয়েছে তা অবহিত করা হয়। নতুন যে বিধি-বিধান রয়েছে তার আলোকে কী করণীয় তা তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘আজকের সভায় জনপ্রশাসন ও জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরের ২৯ জন কর্মকর্তা তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। নির্বাচনে যা যা করণীয় তারা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক বাস্তবায়ন করবেন বলে কমিশনকে আশ্বস্ত করেছেন। নির্বাচন কমিশনও তাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। যাতে করে নির্বাচন পিসফুলি সুন্দরভাবে আয়োজন হয়।’

ইসি সচিব বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র, অর্থ, তথ্য, শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, নৌ পরিবহন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ, মাধ্যমিক শিক্ষা, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যার যেটুকু করণীয় সেই বিষয়টুকু স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়। এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কমিশন তাদের বক্তব্যও ধৈর্য সহকারে শুনেছে। নির্বাচন কমিশন যে সহায়তা প্রত্যাশা করে, তারা তাদের সেই সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমরা কিছু গাইডলাইন দেখিয়েছিলাম, সেই আলোকে আলোচনা হয়েছে, সবগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, ‘আইন যে সংশোধন হয়েছে- নমিনেশন জমা দেওয়ার সর্বশেষ যে তারিখ আছে ওই দিনের আগের দিন পর্যন্ত যারা ঋণখেলাপি তারা টাকা পয়সা জমা দেবেন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় তারা যাতে রিটার্নিং অফিসারের কাছে হালনাগাদ তথ্য জমা দিতে পারেন।’

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপের বিষয়ে সচিব বলেন, ‘আমি আপনাদের বিনীতভাবে জানাতে চাই, ইসি সংলাপের আয়োজন করেননি। তবে নিবন্ধিত যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে সেই পার্টি থেকে দুই জন করে মনোনীত ব্যক্তিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক অথবা তাদের মনোনীত দুজন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশন যে সব আয়োজন করছে, সেই বিষয়ে অবহিতকরণ করা হবে।’

৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্য বিএনপিও আছে। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক যে প্রেক্ষাপট, বিএনপি নেতাদের কেউ পলাতক কেউ জেলে। বিএনপি যদি বলে তাদের কোনো প্রতিনিধিও নাই। তাহলে কী করা হবে? বিএনপি যদি সময় চায় তখন কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, ‘নো কমেন্ট’।

Comment here